বাংলা হান্ট ডেস্ক : মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ফের শ্যুট আউট। ভরদুপুরে চলল গুলি। ব্ল্যাক পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) তথা জেলার সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীর (Satyen Chowdhury) দেহ। রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর (Baharampur) থানার অন্তর্গত চালতিয়া এলাকায়। তারপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
সূত্রের খবর, এককালে সক্রিয় থাকলেও ইদানিং দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তার। তার জেরেই কি এই ঘটনা? নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কারও কারণ? শোনা যাচ্ছে, রবিবার দুপুরে নিজের কিছু অনুগামীর সাথে এক নির্মীয়মান বহুতলের কাছে বসেছিলেন সত্যেন। হঠাৎ করেই দুটি বাইকে করে তিন বন্দুকধারীর দল তাকে ঘিরে ধরে। পরপর তিনটি গুলি চালিয়ে ফেরার হয় ঐ দুস্কৃতির দল।
এদিকে গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা সেখানে পৌঁছে দেখেন, ততক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন সত্যেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ছুটলে সেখান থেকে রেফার করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তার। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, রাজনৈতিক কেরিয়ারের প্রথমদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বাম জামানায় বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, একাধিকবার অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িয়েছে তার নাম। ক্ষমতা বদল হতেই তিনিও সিপিএম ছেড়ে নাম লেখান তৃণমূলে। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই খানিক দূরে দূরেই থাকছিলেন।

বহরমপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ তাদের মত করে তদন্ত শুরু করেছে। খুনের কারণ, রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা__এই সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এইদিন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, ‘কংগ্রেস ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লোকসভা ভোটের আগে অশান্তি তৈরি করতে সত্যেনকে খুন করেছে।’ ওদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার সিপিএম সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘নিজেদের বখরা ভাগাভাগির জেরে খুন হতে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা।’





Made in India