বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ চার মাস বহু টানাপোড়েনের পর জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujoy krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। বিচারপতি অমৃতা সিনহার কড়া নির্দেশের পর রাতেই এসএসকেএম থেকে কাকুকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সেই কণ্ঠস্বর মামলাতেই এবার নয়া টুইস্ট।
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাকুর কণ্ঠস্বর। গতবছর মার্চ মাসে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তকারীদের দাবি, বিষ্ণুপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্র ধরে রাহুল বেরার বাড়িতেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ফোনের একটি কল রেকর্ডিং ইডির হাতে আসে বহুদিন আগে। এদিকে যার মোবাইলের কল রেকর্ডিংয়ে কাকুর কণ্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ইডি অনুমান করেছিল, সেই সিভক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে বৃহস্পতিবার নিজামে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)।
সিবিআই এর নির্দেশ মেনে নিজমে আসেন রাহুল। সাথে ছিলেন রাহুলের আইনজীবী। সূত্রের খবর, জেরায় রাহুল জানিয়েছেন, কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণের সঙ্গে তার কোনওদিন ফোনে কথা হয়নি। পাশাপাশি রাহুলের আইনজীবীর দাবি, “রাহুল মাঠে খেলতে যেত, সেই সময় কেউ তার ফোন ব্যবহার করতে পারে।”
সূত্রের খবর জিজ্ঞাসাবাদে রাহুল বলেন, “যে কল রেকর্ডিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে, সেখানে আমার কোনও ভয়েস নেই। আমার কথা বিশ্বাস না হলে সেটি ফরেন্সিক তদন্তে পাঠাতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।” তবে সুজয়কৃষ্ণকে যে তিনি চিনতেন এ কথা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছে রাহুল।

আরও পড়ুন: ফুঁসছে গভীর নিম্নচাপ! ফের বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে, কোন কোন জেলায় তোলপাড়? আবহাওয়ার খবর
কাকু বিষয়ে রাহুল বলেন, “কাকু পরিবেশ প্রেমী। তাই বেশ কয়েকবার গাছের চারা দিতে আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।” রাহুলের এই বয়ানই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাহুলের বেরার বক্তব্য যদি সত্যিই হয় তাহলে তার অজান্তে তার ফোন ব্যবহার করে কাকু কার সাথে কথা বলতেন এখন সেই প্রশ্ন সামনে আসছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।





Made in India