বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলির (Hoogly) উত্তরপাড়ায় রাজ্যের বৃহত্তম জল শোধনাগারের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) উদ্যোগে এই ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৭৬০ কোটি টাকা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই জল শোধনাগারে প্রতিদিন ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন জল পরিশোধন করা যাবে।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এটি হতে চলেছে বৃহত্তম জল শোধনাগার (Water Plant)। সাতটি পুরসভা এবং ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ উপকৃত হতে চলেছেন এই জল শোধনাগারের মাধ্যমে। একটি পরিসংখ্যান দিয়ে আধিকারিকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই জল শোধনাগার কতটা শক্তিশালী। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উত্তরপাড়ার এই নতুন জল শোধনাগার টালার থেকে ৬ গুণ বেশি শক্তিশালী।
আরোও পড়ুন : এক্কেবারে পাল্টে গেল হাওড়ার লোকাল ট্রেন! মিলবে এই সব সুবিধা, ভোলবদল দেখলে চমকে উঠবেন
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত টালা ট্যাঙ্ক প্রতিদিন নয় মিলিয়ন গ্যালন জল শোধন করতে সক্ষম। কেএমডিএয়ের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে বলেছেন, উত্তরপাড়ার এই ওয়াটার প্ল্যান্ট রাজ্যের বৃহত্তম জল শোধনাগার হতে চলেছে। এই জল শোধনাগার তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ একর জমির উপর। এই জমির মালিকানা প্রাথমিকভাবে ছিল কলকাতা পুরনিগমের হাতে।
আরোও পড়ুন : লাইন নয়, ব্রিজের উপর দিয়ে হুহু করে ছুটছে রেল ইঞ্জিন! মালদায় অবাক কাণ্ড, ভাইরাল ভিডিও
তারপর এটির মালিকানা হস্তান্তর করা হয় কেএমডিএকে। একটা সময় কথা ছিল এই জমিতে তৈরি করা হবে ফিল্ম সিটি। শেষমেষ এই জমিতে তৈরি হয়েছে ওয়াটার প্ল্যান্ট। কেএমডিএয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নির্মাণ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ৬০টি ওভারহেড ট্যাংক রয়েছে এতে। মাটির নিচে রয়েছে সাতটি রিজার্ভার।

এছাড়াও একটি ভাসমান জেটি তৈরি করা হয়েছে নদীর উপর। কেএমডিএয়ের আধিকারিকের কথায়, কোন্নগর, রঘুনাথপুর, উত্তরপাড়া, বৈদ্যবাটি, ডানকুনি, শ্রীরামপুর, চাঁপদানির মতো এলাকার মানুষরা নতুন এই জল সংশোধনাগারের ফলে উপকৃত হতে চলেছেন। কর্তৃপক্ষ আশা করছে নতুন এই জল শোধনাগার তৈরি হলে হুগলির বিস্তীর্ণ অংশের জল সমস্যা অনেকটাই মিটবে।





Made in India