বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন বিজেপিতে যোগদানের কথা। এরপরেই ব্যারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে নিশানা করেন তিনি। অর্জুনের দাবি, নৈহাটি এলাকায় শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং তাঁর অনুগামীদের বিঘার পর বিঘা জমি আছে। সেই জমি কিনতে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন পার্থ (Partha Bhowmick)।
এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদের দাবি, শাহজাহানকে বাঁচানোর জন্য পার্থকে সন্দেশখালি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন অর্জুন সিং দাবি করেন, নৈহাটি এলাকায় শাহজাহান এবং তাঁর দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিঘা-বিঘা জমি আছে। সেই জমি কিনতে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। ব্যারাকপুরের এই দাপুটে নেতার দাবি, এই কারণেই শাহজাহানকে বাঁচাতে পার্থকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পাঠান মমতা।
আরও পড়ুনঃ সুজন থেকে সৃজন, দীপ্সিতা! প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বাম, লিস্টে একাধিক চমক
অর্জুন সিংয়ের সকল দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন পার্থ। ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদের অভিযোগ শুনে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি কিসে যুক্ত আর কিসে যুক্ত নই সেটা এলাকার মানুষ জানে। সেকথা ওকে বলতে হবে না। ও বিজেপিতে যাচ্ছে। তার আগে হাওয়া তৈরির জন্য এসব বলছে। সরকারি ওয়েবসাইট খুললেই তো কার নামে কোথায় জমি আছে সেটা দেখা যায়’।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) অর্জুন সিংকে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করায়নি তৃণমূল (Trinamool Congress)। তাঁর পরিবর্তে পার্থ ভৌমিককে টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। ১০ মার্চ ব্রিগেড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছিল অর্জুন সিংয়ের গলায়। সেই সঙ্গেই মাথাচাড়া দিয়েছিল তাঁর বিজেপিতে (BJP) যোগদানের জল্পনা। অবশেষে বৃহস্পতিবার নিজেই সেকথা ঘোষণা করেন।

অর্জুন দাবি করেন, তাঁকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হবে এই আশ্বাস দিয়ে তৃণমূলে ফেরানো হয়েছিল। তবে পরে তাঁকে ব্যারাকপুরের বদলে অন্য কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বলে জানান অর্জুন। সেই কারণেই প্রার্থীতালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়।





Made in India