বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (TS Sivagnanam) এর ডিভিশন বেঞ্চে পিএসসি (PSC) সংক্রান্ত একটি মামালা শুনানির জন্য ওঠে। আর সেখানেই নিয়োগ নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যত শীঘ্র সম্ভব পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সমস্ত শূন্য পদ পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে! রাজ্যকে চাকরিপ্রার্থীদের কথা স্বরণ করিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
‘এ রাজ্যের বহু চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়োগের অপেক্ষা করে বসে আছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা রয়েছে। রাজ্যকে দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।’ মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। পাশাপাশি নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে সমস্ত দিক থেকে স্বচ্ছতা থাকে সেই দিকেও নজর রাখার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের।
কেন এতদিন থেকে ঝুলে রয়েছে নিয়োগ? ক্ষোভ প্রকাশ আদালতের। বিচারপতির মন্তব্য, ‘যাতে স্বচ্ছ নিয়োগ হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে। স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ করাই যাতে চেয়ারম্যান ও বাকি সদস্যদের উদ্দেশ্য হয়। রাজ্যকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘রাজ্য জুড়ে বহু প্রার্থী এই নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করে আছেন। আগে চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, পরে আদালতের নির্দেশে সেই জটিলতা কাটে।” বিচারপতির নির্দেশের পর চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী শামীম আহমেদ এদিন জানান, নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। নিয়োগ করার আগে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
কেন সন্দেহ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। আইনজীবী শামিম বলেন, এর আগে এমন হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল এজি কিশোর দত্ত বলেন, আইন অনুযায়ী যাতে কাজ হয়ে সেটাই করা হবে।

আরও পড়ুন: এবার অনুমোদনহীন B.Ed কলেজগুলিকে দেওয়া হবে অনুমোদন! পড়ুয়াদের মুখ চেয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
যদিও এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, কেন সন্দেহ করছেন? এই প্রসঙ্গে শামিমের যুক্তি এর আগে এমন হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, আইন অনুযায়ী যাতে কাজ হয়ে সেটাই করা হবে। পাশাপাশি সন্দেহের উপর ভিত্তি করে আদালত কোনো নির্দেশ দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ মার্চ।





Made in India