বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন শিয়রে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট (Lok Sabha Election) ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার বাংলায় সাত দফায় ভোট হবে। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ‘দিল্লি দখলের লড়াই’। চলবে আগামী ১ জুন অবধি। কোন কেন্দ্রে কবে ভোট হবে সেকথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনের দিনগুলোয় সরকারি ছুটি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কেন্দ্রে যেদিন ভোট থাকবে, সেই কেন্দ্রের কর্মীরা সেদিন ছুটি পাবে। উল্লেখ্য, এই ছুটির জন্য কর্মীদের বেতন কাটা হবে না। অর্থাৎ সবেতন ছুটির (Holiday) কথা ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি বেসরকারি কর্মচারীদেরও ভোটের দিনগুলোয় ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সেই বিষয়ে শ্রম দপ্তর একটি ভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে খবর।
এবার পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোট রয়েছে। যে এলাকায় যেদিন ভোট হবে, সেই এলাকার সকল অফিস-কাছারি সেদিন বন্ধ থাকবে। যেমন- প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। সেদিন সেখানকার সকল অফিস কাছারি খোলা থাকবে।
আরও পড়ুনঃ দলের মৃতপ্রায় অবস্থা! ভোটের মুখে বেফাঁস তৃণমূল প্রার্থী, অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির
একইরকমভাবে হাওড়া-হুগলিতে আবার ২০ মে নির্বাচন। সেই দিন সেখানকার অফিস কাছারি বন্ধ থাকবে। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, নিজ এলাকার বাইরের অফিসে যে সকল কর্মীরা কাজ করেন, তাঁরা কবে ছুটি পাবেন? সেক্ষেত্রে বলে রাখি, যে সকল কর্মীরা নিজ এলাকার বাইরের অফিসে কর্মরত, তাঁরাও কিন্তু নিজ কেন্দ্রে ভোটের দিন ছুটি পাবেন।
নবান্নের তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে সকল বিদ্যালয়গুলিকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, সেই কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচনের আগের দিন স্থানীয় ছুটি দিতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারীরা যদি গভীর রাত অবধি ভোটের কাজ করেন, তাহলে পরের দিন তাঁদের ‘বিশেষ ছুটি’ প্রদান করতে হবে।

কোনও কারণবশত যদি কোনও কেন্দ্রে পুনর্নিবাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সেদিনও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছুটি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যবাসীকে নির্বাচনকেন্দ্রমুখী করে তোলার জন্য তথা ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে সবেতন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অনুমান। অনেক সময় দেখা যায়, বেতন কাটা যাবে বলে অনেক কর্মী ভোট না দিয়ে অফিসে ছুটে যান। মনে করা হচ্ছে, সেই সম্ভাবনা কমানোর জন্য এবং রাজ্যবাসীকে ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য এই ছুটির ঘোষণা।





Made in India