বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় বিজেপির উল্কার গতিতে উত্থানের নেপথ্যের অন্যতম কারিগর হলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করতে ডরান না তিনি। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, আজকের এই দুঁদে রাজনীতিকই ছেলেবেলায় ছিলেন বেশ লাজুক স্বভাবের! দিনের বেশিরভাগ সময়ই মাঠে কাটত তাঁর। ফুটবল, কবাডিতে মজে থাকতেন দিলীপ।
ছোট থেকেই অবশ্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। মুখের ওপর সঠিক কথা বলতে কখনও পিছপা হতেন না তিনি। এহেন ব্যক্তিত্বের জীবনে কি কখনও ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ লেগেছিল? কেন চিরকুমার থেকে গেলেন তিনি? এর নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও কাহিনী? সম্প্রতি জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই নিয়ে কথা বলেন দিলীপ-জননী পুষ্পলতা ঘোষ এবং ভাই হীরক ঘোষ।
তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে জন্ম দিলীপ ঘোষের। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছেলেবেলায় মাঠে-ময়দানে পড়ে থাকতে ভালোবাসতেন, দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যেত সেখানে। ভাইদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। আসলে ছোট থেকেই ‘টিম গেমে’ বিশ্বাসী এই দাপুটে রাজনীতিক। এসবের মাঝে আর প্রেমে পড়া হয়নি তাঁর। পুষ্পলতাদেবী বলেন, ‘ও কোনও মেয়ের সঙ্গে কথাই বলতো না। প্রেম-ভালোবাসা কী করে হবে?’
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলকে হারাতে কুণাল ইনপুট পাঠাচ্ছে’, প্রকাশ্যে TMC মুখপাত্রকে ‘ধন্যবাদ’ বিজেপি নেতার
এ তো নাহয় গেল প্রেমের কথা। কিন্তু বিয়েটা কেন করলেন না দিলীপ ঘোষ? সেকথাও জানিয়েছেন তাঁর মা। পুষ্পলতাদেবী বলেন, ‘এরপর ও আরএসএসে চলে গেল। ওখানে তো সবাই অবিবাহিত। এরপর থেকে আর বাড়িতেও আসতো না’। বাড়িতে না আসলেও নিয়ম করে মায়ের ওষুধ পাঠিয়ে দেন বিজেপি নেতা। মা ঠিকমতো ওষুধ পেলেন কিনা তার খোঁজ নিতেও ভোলেন না।
তবে ফোনে বেশিক্ষণ কথা বলতে পছন্দ করেন না মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ। মিনিট খানেকের বেশি কথা বলা তাঁর ‘নাপসন্দ’! ছোটবেলায় দিনের বেশিরভাগ সময়টা মাঠে-ময়দানে খেলাধুলা করে বেড়াতেন দিলীপ। এখন ‘খেলা’টা রাজনীতির আঙিনায়। বিজেপি নেতার ভাই হীরক বলেন, ‘মেজদা আমাদের সবাইকে মাঠে নিয়ে যেতেন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে খেলাধুলা করতেন। সেই সময় ক্রিকেটের অত চল ছিল না। আমরা বাকি সব খেলা খেলতাম’।

এবার ভোট ময়দানে চেনা ‘পিচে’র বাইরে খেলতে হবে দিলীপ ঘোষকে। মেদিনীপুরের সাংসদকে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। লড়াইটা কি একটু কঠিন হয়ে গেল? তা অবশ্য মানতে নারাজ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জেলা সভাপতি থাকাকালীন সারা বাংলা ঘুরে বেরিয়েছেন। তাই আসন বদলালেও কোনও সমস্যা হবে না বলে মত বিজেপি নেতার পরিবারের।





Made in India