বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার রাতেই আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। গতকাল সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে এর ‘এফেক্ট’ দেখা যাচ্ছিল। সোমবার সকালেও জারি বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। এই ‘বিধ্বংসী’ রেমালের বলি হয়েছেন একাধিক। কলকাতার (Kolkata) ১৫ নম্বর বিবির বাগান এলাকায় শেখ সাজিদ নামের একজন যুবক পাশের বিল্ডিং থেকে উড়ে আসা চাঙড়ে আঘাত পান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত (Death) ঘোষণা করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানার মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতে বাগডাঙা নিবাসী এক বৃদ্ধাও রেমালের বলি হয়েছেন। মৃতের নাম রেণুকা মণ্ডল। বছর আশির ওই বৃদ্ধা ঘরে একাই ছিলেন। আজ সকালে অ্যাসবেস্টাসের চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। জানা যাচ্ছে, সেই সময় তিনি ঘরে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। তবে গাছ পড়ার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
এদিকে নামখানায় যে রেমালের দাপট দেখা যাবে তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। তাই এলাকাবাসীকে আগেভাগে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কেন রেণুকাদেবীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখনও অবধি প্রশাসনের তরফ থেকে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ রেমালের জেরে জলমগ্ন কলকাতা! দক্ষিণবঙ্গে ‘দুর্যোগ’ আর কতক্ষণ? রইল আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট
ঘূর্ণিঝড়ের বলি হয়েছেন মেমারির দু’জন। ঝড়ের কারণে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কলানবগ্রাম এলাকা নিবাসী এক বাবা-ছেলে। তবে সেই ভেঙে পড়া কলাগাছের গায়ে বিদ্যুতের তাঁর পেঁচিয়ে ছিল। সেটা খেয়াল করেননি! প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনবাবা। এরপর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় ছেলে।

মৃতদের নাম ফড়ে সিং (৬৪) এবং তরুণ সিং (৩০)। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসতেই বিপদ ঘটে। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়শুল হাসপাতাল এবং পরে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। বাবা এবং ছেলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
 
			 
 
    




 Made in India
 Made in India