বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর পাঁচটা সাধারন মানুষের মতো জীবন নয় তুহিনের (Tuhin Dey)। জন্ম থেকেই হাত-পা সক্রিয় নয় (Physically Challenged)। স্বাভাবিক কাজকর্ম করা তো দূর, বসতে গেলেও লাগে অন্যের সাহায্য। তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের স্বপ্নে অবিচল থেকেছেন তুহিন। হাত-পায়ের সাহায্য ছাড়াই লড়েছেন জীবনের এক অনন্য লড়াই।
তুহিন দের (Tuhin Dey) বেনজির কীর্তি
হাত-পা সক্রিয়ভাবে কাজ না করলেও, খড়গপুরের তুহিন দে’র (Tuhin Dey) মেধা তাবড় তাবড় মানুষকেও পিছনে ফেলে দিতে পারে। আমেরিকার (United States of America) ব্যাংক থেকে আসা বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা প্যাকেজের চাকরি হেলায় ফিরিয়েছেন তুহিন। লক্ষ লক্ষ টাকা বেতনের লোভনীয় চাকরির প্রতি তুহিনের জন্মায়নি মায়া।

উল্টে প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলেছেন নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। ২০১৭ সালে তুহিন মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে। রাজস্থানের কোটা থেকে দেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। শিবপুর থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি টেক সম্পন্ন করেন তিনি।
আরোও পড়ুন : ভোটের আগে বসিরহাটের ১০০ টি উদ্বাস্তু পরিবার পেল জমি! দু-হাত তুলে আশীর্বাদ মমতাকে
এমনকি কম্পিউটার বা ল্যাপটপে হাত দিয়ে টাইপ করতে পারেন না তুহিন। সেক্ষেত্রে তার ভরসা মুখ বা জিভ। যদিও এসব কিছুই পাত্তা পায়নি তুহিনের কাছে। তাঁর কথায়, “আমি মুখ দিয়েই সাধারণ পেন বা পেন্সিল দিয়ে লিখি। সমস্যা হয় না। পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত সময়ও নিই না। মুখ দিয়ে ছবি আঁকতে বা কম্পিউটার চালাতেও অসুবিধে হয় না।”

হাত দিয়ে লিখতে না পারলেও পরীক্ষার সময় তুহিন কখনো কোনো লেখকের সাহায্য নেননি। মুখে পেন্সিল-পেন গুঁজেই চালিয়ে গিয়েছেন লড়াই। এই মুহূর্তে তুহিন এম-টেকে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্যাম্পাসিংয়ে লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব এলেও ফিরিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষা লাভের আশায়। তুহিনের ইচ্ছা আগামী দিনে স্পেসশিপ নিয়ে রিসার্চ করার।





Made in India