বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্যামেরা কেনার জন্য মায়ের কানের সোনার দুল চুরি করে নিয়েছিল ছেলে। বর্তমানে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার (Wildlife Photographer) হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছে সেই ছেলেই। শুধু তাই নয় অনেকের কাছে রাজ্যের ডলফিন ম্যান হিসেবেও নাকি পরিচিত তিনি।
গণেশ চৌধুরীর (Ganesh Chowdhury) জয়জয়কার
গণেশ চৌধুরী (Ganesh Chowdhury), নদীয়া জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম নয়াচরের বাসিন্দা তিনি। গ্রামটি যদিও পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) ঘেঁষা। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের জীবন এবং জীবিকা চলে মূলত কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে। যদিও গ্রামের গণেশ চৌধুরীর জীবনটা কিন্তু একেবারেই ভিন্ন স্বাদের।

দুঃখ দুর্দশা আর অভাবের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া, গণেশ চৌধুরীর (Ganesh Chowdhury) তোলা ছবি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে নিয়েছে। বর্তমানে তো আবার বিদেশ থেকেও নাকি তাঁর ডাক পরে ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলার জন্য গণেশ পাড়ি দিয়েছেন থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।
আরোও পড়ুন : IPL-এর আগে বিরাট “সারপ্রাইজ” পেল KKR! বল হাতে এবার ঝড় তুললেন রিঙ্কু
এই প্রসঙ্গে গণেশ চৌধুরী (Ganesh Chowdhury) জানান, “মায়ের সোনার কানের চুরি করে প্রথম ক্যামেরা কিনেছিলাম। সেই ক্যামেরা থেকেই একটা ছবি তুলেছিলাম যে ছবিটা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। অ্যাওয়ার্ডের টাকা থেকে আমি আবার মাকে জোড়া কানের কিনে দিয়েছিলাম। মাও খুব খুশি হয়েছিল, সেই থেকেই ফটোগ্রাফির পথ চলা শুরু।”
আরোও পড়ুন : জল্পনা শেষ, নতুন বছরের শুরুতেই শেষ হবে রোহিত-বিরাটের টেস্ট কেরিয়ার? সামনে এল বড় আপডেট
শীতকাল পড়লেই পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে পূর্ব বর্ধমানের এই নয়াচর গ্রামের কাছে। সেই সব পাখিদের ভালোভাবে নিরীক্ষণ করার পাশাপাশি, পাখিদের ছবি আঁকার অমোঘ নেশা ছিল গণেশের। অনেক বছর আগে কেতুগ্রামের বেলুন গ্রামের তন্ময় ঘোষ নামের এক ফটোগ্রাফার নয়াচরে এসেছিলেন ছবি তোলার জন্য।

এরপর ওই ফটোগ্রাফারের সঙ্গে গণেশের (Ganesh Chowdhury) পরিচয় হয়। ছোট থেকেই বেলুন গ্রামে বেশ কয়েকটা বছর কাটিয়েছে গণেশ। তন্ময় ঘোষের হাত ধরেই ফটোগ্রাফিতে প্রথম হাতে খড়ি হয় গণেশের। বর্তমানে গণেশের তোলা একটি ছবি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত।





Made in India