বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিরামিষ মোমো (Veg Momo) অর্ডার করেছিলেন, তবে রেস্তোরাঁর তরফ থেকে চিকেন মোমো দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। সেই সঙ্গেই মানসিক যন্ত্রণারও শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে উপভোক্তা বিষয়ক আদালত (Court) তথা জেলা উপভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু’জন ব্যক্তি। উল্টে তাঁদেরই বড় প্রশ্ন করল আদালত।
আদালতে (Court) যা হল…
অভিযোগকারীদের দাবি, একটি রেস্তোরাঁ (Restaurant) থেকে নিরামিষ মোমো ও ঠাণ্ডা পানীয় কিনেছিলেন। তাঁরা জানান, অর্ডার করার সময় দু’বার করে নিরামিষ মোমো নেবেন বলেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিকেন মোমো পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
মামলাকারীদের দাবি, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের এহেন গাফিলতির কারণে তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার পাশাপাশি তাঁরা মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর থেকে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে উপভোক্তা আদালতে যান ওই দুই ব্যক্তি।
পাল্টা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ দাবি করে, মামলাকারীরা আমিষ খাবারই (Non Veg Food) অর্ডার দিয়েছিলেন। এই মর্মে কমিশনে একটি বিলও জমা করেন তারা। সেই সঙ্গেই দাবি করেন, অভিযোগকারী ব্যক্তিরা রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও রেস্তোরাঁর তরফ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অভিযোগকারীদের ওই খাবার দেওয়া হয় ও ১২০০ টাকার একটি খাবারের কুপনও প্রদান করা হয়।
এই বিষয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষণ, আমিষ ও নিরামিষ উভয় ধরণের খাবারই পরিবেশন করে যে সকল রেস্তোরাঁ, এই ধরণের জায়গা থেকে কঠোর নিরামিষাশীরা কেন খাবার অর্ডার করেন? যে সকল রেস্তোরাঁয় কেবলমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাঁদের সেসব জায়গা থেকে খাবার অর্ডার করা উচিত। খাবার খাওয়ার আগে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি আমিষ ও নিরামিশের মধ্যে তফাৎ করতে পারবেন সেটাই যুক্তিসঙ্গত।
এই মামলা খারিজ করে আদালত জানায়, কোনও নিরামিষাশী ব্যক্তির যদি আমিষ খাবারের জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকে, তাহলে তিনি কেন এমন ধরণের রেস্তোরাঁ এড়িয়ে যান না?
অভিযোগকারীরা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুলে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে উপভোক্তা আদালতের (Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। উল্টে মামলাকারীদেরই বড় প্রশ্ন করে এই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।