আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কী কারণ? জানাবে ব্ল্যাক বক্স, কীভাবে কাজ করে এই ডিভাইস?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। লন্ডনের উদ্দেশ্য সফর করার ওই বিমানটিতে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। উড়ান শুরু করার মাত্র মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ভেঙে পড়ে ওই বিমানটি। তবে, কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল তার আসল রহস্য উদঘাটন করা যাবে ব্ল্যাক বক্সের (Black Box) মাধ্যমে। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এই দুর্ঘটনার বিবরণকীভাবে ব্ল্যাক বক্স জানাতে সক্ষম? বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এগুলো সঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।

ব্ল্যাক বক্স (Black Box) কী:

জানিয়ে রাখি যে, ব্ল্যাক বক্স (Black Box) জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত হয়। যেটির মাধ্যমে বিমান দুর্ঘটনার পর কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। ব্ল্যাক বক্স বিমানের উড়ানের সময়ে ঘটে যাওয়া সমস্ত কার্যকলাপ রেকর্ড করে। এজন্য এটিকে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)-ও বলা হয়। ব্ল্যাক বক্স টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে দুর্ঘটনার পরেও সেটি নিরাপদ থাকে। এছাড়াও, ব্ল্যাক বক্সের ভেতরের দেওয়ালগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে দুর্ঘটনা ঘটলেও ব্ল্যাক বক্সটি নিরাপদ থাকে এবং দুর্ঘটনার পরে সমস্ত তথ্য সেটি থেকে পাওয়া যায়।

How does the black box work on an airplane.

জানিয়ে রাখি যে, নাম শুনে অনেকেই মনে করতে পারেন ব্ল্যাক বক্স (Black Box) হয়তো কালো রঙের একটি বক্স! কিন্তু মোটেও তা নয়। বরং ব্ল্যাক বক্স হল কমলা রঙের। এর ফলে দুর্ঘটনার পরেও বক্সটিকে চিহ্নিত করা যায়। ব্ল্যাক বক্সটি বিমানের পেছনের অংশে থাকে।

আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ ক্রিকেট দুনিয়া, কী জানালেন রোহিত-বিরাট-ধাওয়ান?

ব্ল্যাক বক্স কীভাবে কাজ করে: আমরা আগেই জানিয়েছি যে, এটি এমন একটি ডিভাইস (Black Box) যেটি বিমানের উড়ানের সময়ে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে। এর প্রধান কাজ হল বিমান দুর্ঘটনা বা কোনও গুরুতর ঘটনার সময় কী ঘটেছিল তা খুঁজে বের করা এবং তথ্য সংগ্রহ করা। প্রতিটি বিমানে ২ টি ডেটা রেকর্ডার থাকে। যেগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। পাশাপাশি, ব্ল্যাক-বক্স ককপিটের মধ্যে পাইলটদের কর্মকাণ্ডও রেকর্ড করে। টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি হওয়ায় এবং একাধিক স্তর থাকায় ব্ল্যাক বক্স নিরাপদে থাকে। বিমানে আগুন লাগলেও, এটি ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নগণ্য। কারণ এটি প্রায় ১ ঘন্টা ধরে ১০,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: “আমার শরীর কাঁপছে”, যানজটে আটকে “মিস” করেন অভিশপ্ত বিমান, প্রাণে বাঁচলেন মহিলা যাত্রী

শুধু তাই নয়, এই বাক্সটি (Black Box) পরবর্তী ২ ঘন্টায় প্রায় ২৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এর একটি বিশেষত্ব হল এটি প্রায় ১ মাস ধরে আলো ছাড়াই কাজ করে, অর্থাৎ, কোনও কারণে বিধ্বস্ত বিমান খুঁজে পেতে সময় লাগলেও, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বহুদিন ধরে নিরাপদে থাকে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।