গরমের চোটে বদলে গেল স্কুলের সময়! নয়া সময়সূচি বেঁধে দিল প্রশাসন

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুনের শুরু থেকেই ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। তাপপ্রবাহে জেরবার কলকাতা সহ রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলা। তবে কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, দিল্লি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান সহ দেশের একাধিক রাজ্যে চলছে তাপপ্রবাহ। যার জেরে মর্নিং স্কুল করার কথা বলা হচ্ছে (School Timing)। যদিও তা না করে সম্প্রতি পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে দু’দিন রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার তাপপ্রবাহের জেরেই বড় সিদ্ধান্ত নিল বিহারের (Bihar) পাটনা জেলা প্রশাসন।

তাপপ্রবাহের জেরে স্কুলের সময় পরিবর্তন | School Timing

সূত্রের খবর, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুক্রবার একটি আদেশ জারি করে জানিয়েছেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিচালনার ক্ষেত্রে সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে। সকাল ১১ টার পর থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে ওই আদেশে।

অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত বেসরকারি বা সরকারি স্কুল এবং জেলার সমস্ত কোচিং ইনস্টিটিউটে সকাল ১১ টার পরে শিক্ষামূলক কার্যক্রম আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ভাবে প্রাক-বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে সকাল ১০ টার পরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। বিকেলের দিকে তাপমাত্রা কমলে কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিতে বিকেল ৪:৩০ টার পরে শিক্ষামূলক কার্যক্রম ফের পরিচালনা করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

Government of West Bengal

আরও পড়ুন: একজনও যেন বঞ্চিত না হন! মহেশতলায় ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত দোকান ও পরিবারকে সাহায্যের নির্দেশ অভিষেকের

পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি সকাল ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পাটনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে। উল্লেখ্য, গরমের জন্য কারণে একাধিক রাজ্যে স্কুলের সময় পরিবর্তনের দাবি জানানো হচ্ছে। সেই মতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিহারে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/jhE16GQrYB4?si=SvrzNAPyg5INdVbT

এদিকে এ রাজ্যে মর্নিং স্কুলের দাবিতে শিক্ষা দপ্তরের কাছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন আবেদন জানিয়েছিল। তবে মর্নিং স্কুলের পরিবর্তে ফের একবার স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। শুক্রবার এবং শনিবার সমস্ত সরকারি স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবকদের। এভাবে গরমের জেরে পঠন-পাঠন বার বার বন্ধ রাখলে কিভাবে সিলেবাস শেষ হবে সেই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।