বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাবা রিক্সাচালক, ছোট থেকেই অভাব দেখে বেড়ে ওঠা। সেই মেয়েই স্বপ্ন দেখল ডাক্তার হওয়ার। শুধু দিবাস্বপ্ন নয়। মেধা আর পরিশ্রমের জোরে সত্যিও করল সেই স্বপ্ন। নিট পরীক্ষায় (NEET) ৪২ হাজার ব়্যাঙ্ক করে তাক লাগিয়ে দিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বাঁশতলার বাসিন্দা বিদিশা বর।
সুন্দরবনের বিদিশার নিট (NEET) জয়
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বিদিশার। বাবা রিক্সা চালিয়ে রোজগার করেন সংসারের জন্য। ছোট থেকে অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। ভালো স্কুল বা পড়াশোনার পরিবেশ তিনি পাননি। কিন্তু স্বপ্নকে কি বেড়াজালে আটকানো যায়? বিদিশার চোখেও ডানা মেলেছিল একজন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
বিক্রি করতে হয়েছিল ট্যাব: কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তো হল না। তা পূরণ করার জন্য চাই অর্থ। এদিকে ছোট থেকে পড়াশোনায় তেমন বাড়তি সাহায্য পাননি বিদিশা। কোটা বা নামী কোচিংয়ের (NEET) সুবিধা ছিল না তাঁর কাছে। এমনকি সরকারি ট্যাবও অভাবের তাড়নায় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বিদিশা।
আরো পড়ুন : ‘আমি আপনি যে কেউই…’, জঙ্গিদের ধর্ম নেই, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে ট্রোলড আমির
ইউটিউব দেখে প্রস্তুতি: পড়ুয়াদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, তাদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু পেয়েও করোনার সময়ে সেই ট্যাব বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন বিদিশা। অবশেষে ঈশ্বর হয়তো মুখ তুলে চেয়েছিলেন। তাঁর ডাক্তার (NEET) হওয়ার স্বপ্নপূরণের পথে সাহায্যের হাত বাড়ান এক সহৃদয় শিক্ষক।
আরো পড়ুন : প্রথম বার রথ বেরোবে দিঘায়, প্রত্যেক বিধায়ককেও নিজের এলাকায় রথযাত্রা উৎযাপন করতেই হবে! বিশেষ নির্দেশ মমতার
বিদিশার হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন ওই শিক্ষক। কোনো নামজাদা কোচিং নয়, ইউটিউবের ভিডিও দেখেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন বিদিশা। প্রযুক্তির সহায়তাকে কাজে লাগিয়েই নিট পরীক্ষায় চমক দেখিয়েছেন বিদিশা। জেদ এবং ইচ্ছাশক্তির জেরে যেভাবে সমস্ত বাধা পেরিয়ে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সুন্দরবনের এই কন্যা।