বাংলাহান্ট ডেস্ক: হইহই করে শুরু চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। রান্নাঘরের রানী সুদীপার (sudipa chatterjee) শ্বশুরবাড়ির পুজোর যে বেশ নামঢাক আছে তা সকলেই জানেন। গতবারের মতো এবারেও করোনা আবহেই পুজো। তাই অতিরিক্ত সাবধানতা মেনে চলছে সমস্ত প্রস্তুতি। তবে এবারে পুজোতে এক বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছে সুদীপার ছোট্ট ছেলে আদিদেব চট্টোপাধ্যায় (aadidev chatterjee)।
অন্যবার অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানোর ভার থাকে সুদীপা ও অগ্নিদেবের উপরে। কিন্তু এবারে সেই দায়িত্ব বর্তেছে আদিদেবের উপরে। আর সেই গুরু দায়িত্ব বেশ ভালভাবেই পালন করেছে সে। নিজের মতো করে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছে আমন্ত্রণপত্র।

আদিদেব লিখেছে, ‘সবাইকে বলছি, প্রতি বছরের মতো এবছরও আমার বাবা, মা ও বাড়ির সকলে দূর্গাপুজো করছে। (দুগ্গা মা অসুর টুসুর, সিংহ টিংহ নিয়ে পালকাকুর বাড়িতে রেডি। আমি নিজে দেখে এসেছি) কিন্তু কোভিড এখনো চলে যায়নি বলে, শুনছি খুব কম লোককে বলতে হচ্ছে। বাবার মন খারাপ, “বলছে এমন করে কাউকে ডাকা যায় নাকি?” মায়ের পুজো সব্বাই আসবে। মা তাই একেকদিন ৪০-৫০ জন করে ডাকছে।’
আদিদেব আরো লিখেছে, ‘নবমীর দিন ওরা খুব লজ্জা পাচ্ছে, ভাবছে কীভাবে এত কম লোকজনকে নেমন্তন্ন করছি।’ ছোট্ট আদিদেব এও জানিয়েছে, করোনার জন্য কেউ না আসতে পারলে যেন তার মাকে অবশ্যই জানায়। নয়তো মাকে বকুনি খেতে হবে যে। নবমীতে বাড়ির ছাদেই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছে সেটাও জানাতে ভোলেনি আদিদেব।

সম্প্রতি মামাবাড়িতে পুজোর জন্য নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিল আদিদেব। সেখানে এক থালা লুচি দিয়েই আপ্যায়ন করা হয় আদিদেবকে। একটা গোটা লুচি তুলে মুখে পড়তেই মা তৈরি ক্যামেরা নিয়ে। ছেলের কাণ্ডকারখানা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ভারী মজা পান সুদীপা।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মামাবাড়ি ভারী মজা/ কিল চড় নাই’।
আসলে দূর্গাপুজোর জন্যই মায়ের সঙ্গে মামাবাড়িতে নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিল আদিদেব। সুদীপা জানান, চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে তাঁর বড়দাদার অনেক গুরুদায়িত্ব। গঙ্গায় এক ডুবে ঘট ভরা থেকে ঘট বিসর্জন বা পুজোর ভোগ রান্না সবেতেই আছেন আদিদেবের বড়মামা। প্রত্যেক বছর তত্ত্ব দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন অগ্নিদেবই। এবার সেই দায়িত্ব পেয়েছে আদিদেব।





Made in India