বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখনকার বিচ্ছেদ সর্বস্ব বিনোদুনিয়ায় অভিষেক বচ্চন (abhishek bachchan) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (aishwarya rai bachchan) প্রেমকাহিনি কোনো রূপকথার থেকে কম কিছু নয়। একসঙ্গে ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েও দুজনের প্রেম। সেই ২০০৭ সালে সমাজকে চ্যালেঞ্জ করে নিজের থেকে তিন বছরের ছোট অভিষেককে বিয়ে করেছিলেন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য। ঝড়ঝাপটা অনেক এসেছে, কিন্তু একে অপরের হাত ছাড়েননি তাঁরা।
এবার স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতি শেয়ার করলেন অভিষেক। প্রথম দেখাতে নাকি তাঁর কথা কিছুই বুঝতে পারেননি ঐশ্বর্য। ছোট থেকে বিদেশেই বড় হওয়ায় তাঁর ইংরেজি বলার ধরনটাই অনেক আলাদা ছিল। তাই তাঁর হড়বড় করে বলা ইংরেজি মাথার উপর দিয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্যর।

সুইজারল্যান্ডে বড় হয়েছিলেন অভিষেক। পড়াশোনা করেছেন বস্টনে। পরে অবশ্য কলেজ ছেড়ে বাবার পাশে দাঁড়াতে দেশে ফিরে আসেন অভিষেক। এটা যে সময়কার কথা তখনো অভিনেতা হিসাবে বলিউডে পা রাখেননি তিনি। অমিতাভের ছবি ‘মৃত্যুদাতা’তে প্রোডাকশন বয় হিসাবে কাজ করছিলেন।
তাঁকে পাঠানো হয়েছিল সুইজারল্যান্ডে ভাল লোকেশন দেখতে। ছোট থেকে সেখানেই বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাই জায়গাটার সঙ্গে অনেক বেশি পরিচিত ছিলেন অভিষেক। তিনি গিয়েছেন সুইজারল্যান্ড। অপরদিকে ‘অউর পেয়ার হো গয়া’ ছবির জন্য ববি দেওল ও ঐশ্বর্যও এসেছেন শুটিং করতে। সেটা ঐশ্বর্যর প্রথম হিন্দি ছবি।

একসঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখনি ঐশ্বর্যর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ অভিষেকের। কী যে বলেছিলেন তিনি কিছুই বোঝেননি ঐশ্বর্য। অভিনেতা জানান, এখনো সেই ঘটনা নিয়ে মজা করেন তাঁর বিশ্বসুন্দরী স্ত্রী। অভিষেক বলেন, “আমি একটি আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুলে পড়েছি। তারপর চলে যাই বস্টনে। সে সময়ে হয়তো আমার ভাষা খুব জটিল ছিল।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্য ক্যামেরার সামনে থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে মেয়ে আরাধ্যাকে মানুষ করার সমস্ত দায়িত্ব নেন, যাতে স্বামীর কেরিয়ারটা ভাল হয়। এর জন্য স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান অভিষেক। তাঁর কেরিয়ারের উন্নতির সিংহ ভাগ কৃতিত্বটাই ঐশ্বর্যর বলে মনে করেন জুনিয়র বচ্চন।





Made in India