কলকাতা বন্দরের নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী তে পরিবর্তিত করার প্রসঙ্গে বামপন্থীরা এই প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী কে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিয়েছেন ।তারই প্রতিবাদে কমিউনিস্টদের এবার তীব্র আক্রমণ করলো অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাদের মতে ভারতের প্রকৃত বিশ্বাসঘাতক হলো কমিউনিস্টরাই, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী হলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং দেশের নেতা।
শুরুটা হয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় এসে কলকাতা বন্দরের নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামকরণের ঘোষণার পরেই কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয় যদি কলকাতা বন্দরের নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নামে হয় তাহলে আমরা মুছে দিয়ে বন্দরের নামকরণ করব মাস্টারদা সূর্য সেনের নামে আর এর পরেই কমিউনিস্টদের আক্রমণ করেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পৃথ্বীশ দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে 34 বছর মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সরকার ছিল অথচ ওরা একটাও সরকারি প্রকল্প ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পথ প্রদর্শক বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের নামে উৎসর্গ করেনি। ওদের কাছ থেকে দেশপ্রেম বা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান দেওয়ার শিক্ষা নেবেনা ভারতবাসী। তিনি আরও বলেন ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি বিশ্বাসঘাতক, কারণ এরাই ব্রিটিশ পুলিশকে সাহায্য করত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চিনিয়ে দিতে, এরাই জাতির নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তোজোর কুকুর বলেছিল, কমিউনিস্টরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বুর্জোয়া কবি বলেছিল, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কে মৃগীরোগী বলেছিল, এরা ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালন করে না, এরা ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে না, এরা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করেনা, এরাই দেশ ভাগের পক্ষে ছিল।

কমিউনিস্ট পার্টি বিদেশি দল, ওদের ছাত্র যুব সংগঠন দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ভারতকে টুকরো করার স্লোগান দেয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মনিপুর, কাশ্মীরের আজাদীর কথা বলে স্লোগান দেয়। এরা ভারতের সংস্কৃতি জানেনা, এরা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কে যদি বিশ্বাসঘাতক বলে, ওদের থেকে বড় বিশ্বাসঘাতক দল ভারতে নেই এরা যেমন বাংলায় সহযোগী দল অর্থাৎ বামফ্রন্টের সহযোগীদের সাথে দীর্ঘদিন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে একইভাবে কেন্দ্রেও যতবার সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে এদের ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকতার। এরা ভারতের কৃষক শ্রমিক মধ্যবিত্ত মানুষের কথা বলে কিন্তু যখনই এরা সরকারের নিয়ন্ত্রণে গেছে এরা এই অংশের মানুষের জন্য কোন কাজ করেনি।

আজ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এরা বিরোধিতা করছে অথচ এরা কখনো শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেনি। মানুষকে বিভ্রান্ত করা এদের কাজ। এরা শহরে মাও, নকশাল সংগঠন কে সাহায্য করে আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি হল নকশালবাদী ও মাওবাদীরা। এরা দীর্ঘদিন কংগ্রেসকে সাম্রাজ্যবাদের দালাল বলেছে অথচ আবার তাদের সাথেই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন লড়ছে। বাংলার মানুষের সাথে ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওরা যদি কোলকাতা বন্দরে শ্যামাপ্রসাদ মূখার্জীর নাম মোছার চেষ্টা করে তাহলে হুশিয়ারি দিয়ে বলছি, লেলিন সরণি বা হোচিমিন সরণি আর থাকবে না। আর দিল্লিতে ওদের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ করবে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মূখার্জী ছিলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় সভাপতি। সংগঠন দেশজুড়ে ওদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সাথে প্রতিবাদে পথে নামবে।





Made in India