বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যে বন্দি অবস্থায় মৃত্যু হল এক যুবকের। পকসো মামলায় ২০২২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। তার পর থেকেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন তিঁনি। তবে হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন। হাইকোর্টে আবেদন (Calcutta High Court) জানানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আর হল না। জেলেই মৃত্যু যুবকের। এমনকি ছেলের মৃত্যুর খবর জানতেই পারলেন না মা-বাবা।
জেল থেকে জানানো হয়, জেলেই অসুস্থ হয়েছিল ছেলে তারপর তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি পরিবারকে। এরপরই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলা উঠেছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেখানে ওই যুবকের পরিবার তরফে জানানো হয় সম্প্রতি তারা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে জেল কর্তৃপক্ষ জানায় অভিযুক্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছবে হাইড্রোজেন! তাতেই হবে রান্না, বড় উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। গোটা ঘটনা শুনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মৃত যুবকের শরীরে হিলিয়ামের উপস্থিতি ছিল।

যা দেখে বিচারপতির প্রশ্ন, এটা কি করে সম্ভব? জেলখানায় এমন কী খেয়েছিলেন ওই যুবক যে হিলিয়াম শরীরে ঢুকল? বিষক্রিয়াই কি ভাবে হল? ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “ছেলেটি মরে গিয়েছে বাবা… এত সহজে ছাড়ব না। বন্দি হিসেবে রাখলে প্রশাসনকে তো দায়িত্ব নিতেই হবে।” ইতিমধ্যেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।





Made in India