বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথম পর্বে রাজি না হলেও, তারপর পরিস্থিতির চাপে পড়ে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে মত দিলেও, তা নাকচ করে দেয় শীর্ষ নেতৃত্বরা। দিল্লীতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকই কাজে লেগেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে বাংলায় উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলেও, প্রচারের মঞ্চ থেকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন সেই কংগ্রেসকেই। এবিষয়ে কিছুটা আহত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir ranjan chowdhury)।
ভবানীপুরের প্রচার সভা থেকে কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আবার কখনও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন কংগ্রেসকে। জাতীয় স্তরে যে দলের সঙ্গে জোট বাধার আলোচনা চলছে, রাজ্য স্তরে সেই দলকেই এভাবে কোণঠাসা করার বিষয়টাতে ভীষণই ক্ষিপ্ত হয়েছেন অধীর চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোনিয়া গান্ধী প্রার্থী দিতে না চাইলেও, তিনি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গালিগালাজ করতে ছাড়ছেন না কংগ্রেসকে। একসময় রাজীব গান্ধীর দৌলতেই নেত্রী হয়ে, আজ আরএসএস-এর অঙ্গুলিহেলনে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা জেলে থাকাকালীন ওনার এত কষ্ট হয়নি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই ডাকতেই মোদীর কাছে গিয়ে ভাইপোর জন্য ভিক্ষা চাইলেন’।
তবে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার ইস্যুতে এক তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ‘সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গেই জোট করা হবে। আর যদি বিরোধী জোট গড়েও ওঠে, তাহলে তৃণমূলের হাতেই থাকবে দল চালানোর রাশ।





Made in India