বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাসে বারবার আমরা আফ্রিকার বিষধর ব্ল্যাক মাম্বা (Black Mamba) সাপের উল্লেখ পেয়েছি। অনেকেরই তাই ছোটবেলা থেকে ব্ল্যাক মাম্বা সাপ সম্পর্কে রয়েছে কৌতুহল। আজকের প্রতিবেদনে আমরা সেই কৌতুহল নিবারণের খানিকটা চেষ্টা করব। আজ আমরা কথা বলতে চলেছি বিশ্বের সবথেকে বিষধর ও ভয়ানক সাপকে নিয়ে।
প্রাণঘাতী সাপ ব্ল্যাক মাম্বা (Black Mamba)
মনে করা হয় বিশ্বের সবথেকে বিষধর সাপ হচ্ছে ব্ল্যাক মাম্বা (Black Mamba)। ব্ল্যাক মাম্বার এক ছোবল ছবি করে দিতে পারে যে কাউকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষকে সাপ দংশন করে। এদের মধ্যে প্রায় ৮১ হাজার থেকে দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। আফ্রিকার (Africa) ব্ল্যাক মাম্বা বিষধর সাপগুলির তালিকায় শীর্ষে।

এই সাপের (Snake) দু ফোঁটা বিষই যথেষ্ট একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে। ব্ল্যাক মাম্বা শরীরে দংশন করলে যদি তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা না পাওয়া যায় তাহলে এর বিষ (Poison) শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ও পেশিগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। মুহূর্তে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে মানুষ। এই সাপের গতিবেগও বেশ চোখে পড়ার মতো।
আরোও পড়ুন : ‘পুওর পারফরম্যান্স’-এর তালিকায় ১০ জেলা! নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মাত্র ৮ ফুট লম্বা ব্ল্যাক মাম্বা ঘন্টায় ১৯ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে পারে। জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া, জাম্বিয়া, মোজাম্বিক ও সোয়াজিল্যান্ডে দেখা মেলে বিষধর ব্ল্যাক মাম্বার। মুখের ভেতরটি কালো হওয়ায় এই সাপটির নাম ব্ল্যাক মাম্বা। ১৮৬৪ সালে ব্রিটিশ প্রাণিবিদ অ্যালবার্ট গ্যানথার প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক মাম্বা সাপের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করেছিলেন।

হলদে-বাদামি, ধূসর বা খাকি রংয়ের হয়ে থাকে একটি পূর্ণবয়স্ক ব্ল্যাক মাম্বা সাপ। এই সাপের মাথাটা খানিকটা বড় হয় যা কফিন আকৃতির মনে হতে পারে। আদতে হালকা ও পাতলা গঠনের এই সাপ পৃথিবীতে পরিচিত তার বিষের জন্য। তথ্য অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘজীবী ব্ল্যাক মাম্বাটি ১৪ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিল। তবে গবেষকরা মনে করেন একটি ব্ল্যাক মাম্বার গড় আয়ু এর থেকে অনেকটাই বেশি।





Made in India