বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ পশ্চিমবঙ্গে মোট তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচনী লড়াই চললেও কার্যত গোটা রাজ্যের নজর ছিল ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফলাফলের দিকে। কারণ ভবানীপুরের হাতেই ছিল পশ্চিমবঙ্গের ভরকেন্দ্র নির্বাচনের ভার। প্রিয়াঙ্কা-মমতা নাকি শ্রীজীব কে পৌঁছাবেন বিধানসভায়? এই আসনে জয়ী হয়ে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফিরবেন কিনা মমতা সেদিকেই তাকিয়ে ছিল সকলে।
তবে নন্দীগ্রামের মতো কোনও অঘটন এবার আর ঘটেনি। বরং সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ভবানীপুর থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা। ব্যবধান ৫৮ হাজারেরও বেশি। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে ভালো লড়াই দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও, মমতার গড়ে দাঁড়িয়ে ২৫ হাজার ভোট ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি, যা মোটেই কোন ছোট বিষয় নয় রাজ্য বিজেপির কাছে। ইতিমধ্যেই সেই কারণে আম জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা। সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “হয়তো আমরা ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ আমি।” একইসঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েও এই ফলাফলের পর্যালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংগঠনকে শক্ত করার জন্য বিজেপির আরও পরিশ্রম করা দরকার। ভবানীপুর আমি ছাড়বো না। একইসঙ্গে আমি দিদিকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা এবং আমার প্রণাম জানাই।”

একই সাথে এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপও দাগেন তিনি, প্রিয়াঙ্কা বলেন, “একই সঙ্গে এটাও বলব পরবর্তী ক্ষেত্রে যদি কাউকে ছাপ্পা ভোট দিতে পাঠান দিদি, তাহলে সংগঠনের কাউকে পাঠাবেন না তাদের বাঁচাতে। এতে সংগঠনের ক্ষতি হয়। মানুষ দেখতে পায়।” এদিন নিজের লড়াই প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “কাল পর্যন্ত যে বাচ্ছা মেয়েটিকে তিনি চিনতেন না, সেই আজ ২৫ হাজার ভোট পেয়েছে ভবানীপুরে, যাকে মমতা ব্যানার্জির গড় বলা হয়।” তার দাবি, তার মতো একজন বাচ্ছা মেয়েকে হারানোর জন্য তৃণমূলের সমস্ত মন্ত্রী মন্ডল সংগঠন এবং কাউন্সিলরদের রাস্তায় নামিয়ে দিতে হয়েছিল তৃণমূলকে।





Made in India