বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই রাজ্যে (West Bengal) ঘটেছে বর্ষার আগমন। আর বর্ষা আসা মানেই ভোজনরসিক বাঙালি যেটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে সেটি হল ইলিশ (Hilsa)। প্রত্যেক বছরই এই সময়টাতে বাজারের প্রধান আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই মাছ। এই বছরেও ইতিমধ্যে ইলিশের অপেক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই মিলেছে সুসংবাদও। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দীঘা এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে বিপুল ইলিশ বাজারে এসেছে।
যদিও, মনের মতো ইলিশের দেখা মিলতে এখনও কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে যে আগামী ১৫ অগাস্টের পর ইলিশের প্রতীক্ষার কিছুটা অবসান ঘটবে। এমনকি, সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পদ্মার ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। তখন, বাজারে আরও বৃদ্ধি পাবে ইলিশের পরিমাণ।
এদিকে, গত শুক্রবার রাত্রি থেকেই দীঘা এবং ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে সুখবরের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। প্রায় ৫৫ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে মৎস্যজীবীদের জালে। যদিও, বর্তমান সময়ে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির তেমন প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে, বৃষ্টির সাথে কিন্তু ইলিশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
কারণ, সমুদ্রপৃষ্ঠে যত বেশি বৃষ্টি হবে তত বৃদ্ধি পাবে তাজা জলের পরিমাণ। যার ফলে খোকা ইলিশের ওজন এবং স্বাদ উভয়েই বৃদ্ধি পায়। আর এই স্বাদের জন্যই আপাতত অপেক্ষা করতে হবে স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল হিলসা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের জালে এখনও পর্যন্ত যে ইলিশগুলি উঠছে সেগুলির গড় ওজন হল ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। এমতাবস্থায়, খোকা ইলিশের থেকে কিছুটা বড় এই ইলিশের স্বাদ মোটামুটি হলেও কাঁটা থাকে প্রচুর। তবে, পুজোর ঠিক আগে আগেই বাজারে আসবে বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো পদ্মার ইলিশ। যেগুলির ওজন শুরু হবে ৯০০ গ্রাম বা ১ কিলো থেকে।

এমন পরিস্থিতিতে, পদ্মার ইলিশ আসার আগে আপাতত মায়ানমারের বরফে মোড়া ইলিশ দিয়েই “দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন” ক্রেতারা। এমনকি, ইতিমধ্যেই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই ইলিশ। গড়িয়াহাট মাছ বাজারে এগুলি বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকায়। তাই, ভালো ইলিশ পাতে আনতে এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে ইলিশ প্রিয় বাঙালিকে।





Made in India