বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইডি দাবি করেছিল এক সুতোয় বাঁধা পার্থ-মানিক-সুজয়কৃষ্ণ। তাহলে কী মানিকের পর এবার ভাগ্য ফিরবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ২০২২ সাল থেকে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির রমরমা। ২২ এর জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই বছরই অক্টোবর মাসে নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। বৃহস্পতিবার মানিকের জামিনের আর্জিতে সায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পার্থ এখনও জেলে।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা যে কয়েকজনকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছিল তার মধ্যে পার্থ ছাড়াও অন্যতম ছিল মানিক ভট্টাচার্যের নাম। আর এদিন সেই মানিককেই শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দিল হাইকোর্ট। এর আগেই এই মামলায় জামিন পেয়েছেন মানিকের স্ত্রী ও ছেলে। পূর্বে বহুবার জামিনের আবেদন করেছেন মানিক। কিন্তু কোনোবারই সুরাহা হয়নি। ২০২৪ এ পুজোর আগে এসে খুলল কপাল।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। ইডি-র দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই জামিনের আবেদন মঞ্জুর। একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তবে কোনোবারই তার জামিন মঞ্জুর হয়নি। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন তৃণমূলের আরেক বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও। তাহলে এবার পার্থও জামিনে মুক্ত হয়ে যাবেন? বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! TRAI-এর এই পদক্ষেপের ফলে ফের বাড়বে রিচার্জ প্ল্যানের দাম? আশঙ্কায় গ্রাহকেরা
ওদিকে গত অগাস্ট মাসে আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘এক্ষেত্রে জামিনটাই দস্তুর, জেল হওয়াটা ব্যতিক্রম’। আইনের এই সাধারণ নীতি PMLA তথা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের পর আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার হওয়া পার্থ কি তাহলে জামিন পাবেন? সেই প্রশ্নও উঠছে।





Made in India