বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে বাংলা জিতের আসার পর থেকেই দিল্লির দিকে লক্ষ্য দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীও (Abhishek Banerjee) জানিয়েছেন, আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যেও ভোট শতাংশ বা আসন বাড়ানো নয় জয়ের জন্যই ঝাঁপাবে তৃণমূল (TMC)। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ত্রিপুরা। এমনকি ত্রিপুরা দেড় বছরে ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের ডাকও দিয়েছেন অভিষেক।
এবার ত্রিপুরার পর কি বাম শাসিত (CPIM) কেরলেও নজর দিল তৃণমূল? প্রশ্ন উঠছে কারণ এবার কেরলেও দেখা গেল মমতা ব্যানার্জির নামাঙ্কিত পোস্টার। বাংলায় প্রায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের গুটিয়ে যেভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন মমতা, তা ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে ‘ফোকলোর’-এ। এবার কেরলেও তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার দেখা গেল এর্নাকুলামে। পোস্টারে লেখা, ‘ভারত বাঁচাতে দিদিকে চাই, দিল্লি চলো।’ ইংরেজির পাশাপাশি মালয়ালমেও লেখা রয়েছে একই কথা।
২০১৪ লোকসভা ভোটে কেরলে তৃণমূল মাত্র পাঁচজন প্রার্থী দিতে পেরেছিল। কিন্তু সে সব এখন অতীত। ইতিমধ্যেই ৫১ জনের কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। এমনকি এর্নাকুলামেও অনেককে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। শুধু ত্রিপুরা বা কেরল নয়, আসামেও যে বিস্তার বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই সিএএ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শিবসাগরের বিধায়ক তথা রাজৌর দলের নেতা অখিল গগৈয়েরও।

তাই একদিকে যখন ত্রিপুরায় তৃণমূলের জমি শক্ত করতে মাঠে নেমে কাজ করছে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক (ipac) এবং ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলের একাধিক বর্ষিয়ান নেতা। তখন অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণে বিস্তৃতি বাড়াতে যে মরিয়া তৃণমূল তা বলাই বাহুল্য।





Made in India