বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ বার সেখানে বর্ণপরিচয় রূপকার বিদ্যাসাগরের জন্মভূমিতে এডুকেশন হাব তৈরি করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এত দিন অবধি বীরসিংহ গ্রামকে অন্য ভাবে দেখেছে জেলার মানুষ জন, যদিও রাজ্য সরকারের পরিবর্তনের পর এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ভালো আলোর ব্যবস্থা হয়েছে৷
এমনকি বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রামটিও যেন ছবির মতো সুন্দর হয়ে উঠেছে৷ তাই অনেকেই বীর সিংহকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মডেল ভিলেজ বলছেন৷ তবে এ বার বীরসিংহ গ্রামের আরও উন্নয়নের জন্য এবং পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন গ্রামে প্রবেশপথের তৈরি হবে দুটি তোরন, কমিউনিটি হল, বিদ্যাসাগর গবেষণা কেন্দ্র৷
মঙ্গলবার বীরসিংহ গ্রামে উপস্থিত হয়ে সেখানকার উন্নয়নের প্রসঙ্গ বারবার তোলা সত্ত্বেও বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বর চন্দ্রের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি৷ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় যে ভাবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল সেই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ধর্মান্ধ লোকেরা সেটি ভেঙে দিয়েছেন বলে জানান পাশাপাশি কখনোই এই মাটিকে ভয়ে স্তব্ধ করা যায় না ভয় দেখানো যায় না এবং এই ভাষাকে অস্বীকার করা যায় না কারণ মাতৃভাষা মাতৃ ভাষায় এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্য দিকে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে এসে তিনি ধন্য হয়ে গিয়েছেন বলেও জানান৷ তবে বীরসিংহ গ্রামের এত উদ্যোগের পিছনে বিরোধীরা যখন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে শাপে বর হিসেবে দেখছেন৷তাই বিরোধীরা মূর্তি ভাঙার কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বলেও মনে করছেন৷ আবার অনেকে এই মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বকালের সময় সীমা তুলে ধরে বীরসিংহ গ্রামের কথা এখন কেন মনে পড়ল? সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন৷





Made in India