বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিল্লিতে (Delhi) একেবারে জামাই আদরে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বিচারকের নির্দেশে আদালত কক্ষেই অনুব্রতর (Anubrata Mandal) জন্য চলে এল বার্গার। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের রোগী কেষ্টর জন্য নিয়ে আসা হল সুগার ফ্রি কোল্ড কফিও। যা দেখেশুনে কেউ কেউ বললেন, গরু পাচার কাণ্ডের সমাধান করতে অনুব্রতকে ইডি (ED) আধিকারিকরা বেশ কড়া প্রশ্ন করছেন। কিন্তু, অনুব্রতর পেটের কোনও রাখছেন না তাঁরা!
শুধুই খাওয়া দাওয়া তো নয়। তাঁর থাকারও এলাহী ব্যবস্থা রয়েছে। আপাতত, দিল্লিতে ইডির সদর দফতরের একটি ঘরে অনুব্রতর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেষ্টর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সিঙ্গল রুম। ঘরে রয়েছে একটি ছোট খাট, এসি এবং ফ্যান। ঘরের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে শৌচালয়। এমনকি, ঘর সঙ্গে একটি কেবিনও রয়েছে। সেই কেবিনেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করছেন তিন আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে বাংলা জানা একজন দোভাষী ব্যাঙ্ককর্মীও রয়েছেন। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির জন্য প্রত্যেকদিন দুপুরে রান্না হচ্ছে মাছ, ভাত, ডাল, আলু পোস্ত। এমনকি, শুক্রবার কোর্টে হাজিরার আগেও ভাত, ডাল আলু পোস্ত, মাছের ঝোল খেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সকালের খাবারে ছিল টোস্ট এবং চা।

জানা যাচ্ছে, ইডি-র নিজস্ব ক্যান্টিনে বাঙালি খাবার পাওয়া যায় না। অবশ্য কেষ্ট-র যাতে খাবারের কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বাইরে থেকে খাবারের ব্যবস্থা করছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির তিন দিনের হেফাজত শেষ হওয়ার আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুব্রত ইডি দফতরে বাঙালি খাবার খেতে চান। মেনুতে ছিল ভাত, মাছ, ডাল, তরকারি, সুগার ফ্রি সন্দেশ। সন্দেশ মিষ্টি তাঁর বড় প্ৰিয়। তাই ইডি দফতরে মিষ্টি সন্দেশ খাওয়ার আবদার করেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর সেই আবদার অবশ্য রেখেছেন ইডি আধিকারিকরা।
বোলপরের অনুব্রতর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা জমা পড়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। ধাপে ধাপে জমা পড়েছিল সেই টাকা। ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে ওই টাকা জমা হয় বলে দাবি ইডির। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকা এফডি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে রয়েছে। ভুয়ো একাধিক কোম্পানির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের।





Made in India