বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বীরভূমে চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর তা সামাল দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে দল (Trinamool Congress)। মূলত দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানা টানার বিষয়েই বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা হল এদিন। যাদের নিয়ে এত চর্চা সেই কাজল-কেষ্ট দুজনেই উপস্থিত। উপস্থিত ছিলেন বাকি সদস্যরাও। তবে লাইমলাইটে সেই কেষ্ট (Anubrata Mandal)। একেবারে মধ্যমণি।
কোর কমিটির বৈঠকে মধ্যমণি সেই অনুব্রতই | Anubrata Mandal
এদিনের বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, কাজল শেখ, শতাব্দী রায় সহ সহ উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির ৯ সদস্য। সূত্রের খবর, দলের ভেতরকার দ্বন্দ্ব বিনাশ করতেই এই বৈঠক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বে নির্দেশের কথা মাথায় রেখেই এদিন বৈঠক হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব মেটাতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও ফিরহাদ হাকিম তৎপর হয়। কলকাতায় বীরভূমের দুই দাপুটে নেতাকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন ফিরহাদরা। সেই বৈঠকে দল তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয় দুজনকেই। যাতে সংবাদমাধ্যমের সামনে একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দলের অস্বস্তি না বাড়ায় সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে কেষ্ট-কাজলকে।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, দলের যে কোন কর্মসূচি ঘোষণা বা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোর কমিটিই৷ আর দলের নির্দেশ যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় তা নিশ্চিত করতেই এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক। সূত্রের খবর, দুই নেতার মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মেটাতে এদিন দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বিকেল ৩ টে ৩০ মিনিট থেকে প্রায় ৪. ৩০ পর্যন্ত প্রায় ১ ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সূত্রের খবর এত কাণ্ডের পরও এদিন বৈঠকের মধ্যমণি ছিলেন সেই অনুব্রতই।

হাইভোল্টেজ বৈঠক শেষে কোর কমিটির আহ্বায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফেসবুকে বিভাজনমূলক পোস্ট করলেই কড়া পদক্ষেপ নেবে দল। তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুন বীরভূম জেলা কমিটির যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২১ জুলাই কলকাতায় শহীদ স্মরণসভায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে যাওয়া ২৯ জুন জেলা কমিটির বৈঠক হবে। ১২ জুলাই সিউড়িতে দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান, এবার বড় ‘ক্ষতি’ হয়ে গেল জন বার্লার, বলেই দিলেন…
আশিষবাবু বলেন, “২১ জুলাই সফল করতে জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ দলে কোন কোন্দল থাকবে না আর৷ সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি ও সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, ফেসবুকে যে কোন দলের প্রিয় নেতাকে নিয়ে পোস্ট কেউ করতেই পারেন, কিন্তু বিভাজন মূলক পোস্ট করলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/tcbJGlkyCsM?si=4iWBWeepXHNAdHaj
এদিকে সাংসদ শতাব্দী রায় বৈঠক শেষে বলেন, “দল তো একটাই। সবাই এক সঙ্গে কাজ করা উচিত৷ এত বড় দলে মত বিরোধ হতেই পারে৷ তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন৷ তবে ভোট এলে যে সবাই তৃণমূল এটা আমি দেখেছি।” এদিন আশিষ, শতাব্দীরা সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কেষ্ট।





Made in India