বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত সপ্তাহ থেকে দিল্লিতে ইডির (ED) হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার বিপুল সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত চলছে। কেষ্টর গ্রেফতারির পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। একে একে তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি আধিকারিকরা। ইডির ডাকে শুক্রবার দিল্লিতে (Delhi) হাজিরা দিলেন কেষ্টর বাড়ির রাঁধুনি (Cook) ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী (Labhpur College Staff) বিজয় রজক।
তবে হঠাৎ কেন এনাদের তলব করেলেন ইডি আধিকারিকরা? তাহলে কি এবার এই দুজনের কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদের তোড়জোড় চলছে? ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষাকর্মী বিজয় রজকের বোলপুরে একটি বিশাল বাড়ি রয়েছে। বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। জেলবন্দি কেষ্টর সঙ্গে ইতিমধ্যেই তার ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই এবার তার ডাক পড়েছে দিল্লিতে।
বিজয়ের বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাকে তলব করা হয়। জানা গিয়েছে কালই বিজয় রজককে আগামী ২০ মার্চ মধ্যে হাজিরার জন্য নোটিস পাঠায় ইডি। অন্যদিকে, ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রতের বাড়ির রাঁধুনিকেও। সূত্রের খবর, শিক্ষাকর্মীর পাশাপাশি এদিন তিনিও হাজির হয়েছেন ইডির অফিসে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীরে তলব করেছিল ইডি। অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও জানা যায়। ইডির নির্দেশ মতো দুদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। তবে দীর্ঘ জেরার পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি।

অন্যদিকে, ইডির তালিকায় দ্বিতীয় নামটি ছিল সুকন্যার। বুধবার তাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইডি দফতরে যাননি অনুব্রতকন্যা। এরপর তাকে ফের ২০ মার্চের মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এবারে তিনি যাবেন কী না সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।





Made in India