বীরভূমে দাপট কমছে অনুব্রতর? কলকাতা থেকে ফেরার পরেই কড়া বার্তা দিল তৃণমূল

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) নিঃসন্দেহে একটি বড় নাম। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও সেই দাপটে ভাটা পড়েনি। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একসময় তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলেছিলেন। কিন্তু বিগত কয়েক মাসে সেই পরিস্থিতি বদলেছে। আস্তে আস্তে কি তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন কেষ্ট? ফের একবার মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্ন।

অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ফের কড়া বার্তা তৃণমূলের!

সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেষ্ট। তখন তাঁকে ও কাজল শেখকে নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেন সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। কারোর ব্যক্তিগত ইগোর লড়াইয়ের জন্য দলের ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না, স্পষ্ট জানানো হয়। এরপর কেষ্ট ফের বীরভূমে ফিরতেই আবারও কড়া বার্তা দিল তৃণমূল।

শনিবার অনুব্রত বীরভূমে ফেরার পর কোর কমিটির একটি বৈঠক ডাকা হয়। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ জুন সেই বৈঠকের ডাক দেন কোর কমিটির চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে বোলপুর জেলা তৃণমূলের (TMC) মূল হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি বার্তা পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনঃ ‘একবার ভুল হতেই পারে, কিন্তু নিশ্চিত করুন…’! BJP সাংসদ-বিধায়কদের সতর্ক করে বড় বার্তা শাহের

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেষ্ট অনুগামীদের গ্রুপেও বৈঠক নিয়ে একটি মেসেজ আসে। যার নীচে লেখা, ‘ধন্যবাদান্তে অনুব্রত মণ্ডল’। এরপরেই শাসকদলের অন্দরে শুরু হয় চাপানউতোর।

তৃণমূল নেতৃত্ব এই বিষয়ে মনে করছে, অনুব্রত শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনধিকার চর্চা করেছেন। কারণ এখন তিনি আর জেলা সভাপতি নেই। শুধুমাত্র কোর কমিটির একজন সদস্য। ফলে তিনি বৈঠক ডাকতে পারেন না। এই নিয়ে রবিবার তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছে বলে খবর।

Trinamool Congress allegedly gave last warning Anubrata Mondal on Saturday

স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বীরভূমে তৃণমূলের কোনও বৈঠক শুধুমাত্র কোর কমিটির চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকতে পারবেন। অনুব্রত মণ্ডল অথবা কাজল শেখ সহ বাকি কারোর এই অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূমে সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদল করেছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি পদ তুলে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯ সদস্যের কোর কমিটিকে। সেই কমিটির একজন সদস্য হলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তবে তাঁর যে বৈঠক ডাকার অধিকার নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে জোড়াফুল শিবির।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।