বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ মাস জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে দিন কেটেছে ভাঙরের ‘তাজা’ নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam)। অবশেষে বুধবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে জামিন দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। পরের দিন দুপুর ২:৩০ নাগাদ বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে বেরোতে দেখা তাঁকে। মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানায় অনুগামীরা।
জেল থেকে বেরনোর পরেই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রসংসা করেন আরাবুল। লোকসভা নির্বাচনে যা রেজাল্ট হয়েছে, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ফের ‘সবুজ ঝড়’ ওঠা নিশ্চিত বলে দাবি করেন ভাঙরের এই দাপুটে নেতা। আরাবুলের মুখে দলের তারিফ শোনা গেলেও, এদিনই ভাঙর-২ পঞ্চায়েত সমিতি (Bhangar II Panchayat) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর নামের নেমপ্লেট।
গত বছর ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আরাবুল (Arabul Islam)। যদিও ২০০৮ সাল থেকে ওই ঘরে বসতেন তিনি। তবে এবার সেখান থেকে সরে গেল ‘তাজা নেতা’র নেমপ্লেট। একসময় যে ঘর আরাবুলের ছিল, এখন সেখানে বসেন সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড়। সেই সঙ্গেই ওখানে বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনকারী ও আরাবুল-বিরোধী হিসেবে পরিচিত খাইরুল ইসলামের।
আরও পড়ুনঃ শ্রীতমার বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ! ভিডিও ফাঁস করে ব্যবসায়ী যা বললেন … তুমুল শোরগোল!
উল্লেখ্য, জেলবন্দি থাকাকালীনই ভাঙর-২ ব্লক তৃণমূল আহ্বায়কের পদ থেকে সরানো হয়েছিল আরাবুলকে। এরপর গত জুন মাসের ৯ তারিখ ভাঙর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সোনালিকে সভাপতির পদে আসীন করা হয়। এবার থেকে আরাবুলের অফিসেও বসছেন তিনি।

এই বিষয়ে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে আরাবুল বলেন, ‘আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ভোটে আমি সভাপতি হয়েছি’। ফলে এত সহজে যে তাঁকে সরানো যাবে না সেকথা একপ্রকার পরিষ্কার করে দিয়েছেন TMC নেতা। পাশাপাশি এও বলেন, ‘আমি খুনের রাজনীতি করি না। তবে তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকছি’। এক সপ্তাহের মধ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করবেন বলে জানান তিনি।





Made in India