বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোপন অভিযান চালিয়ে ভারতজুড়ে নাশকতার বড়সড় ছক বানচাল করল অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আটজনকে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (Bangladesh) নামে সন্ত্রাসবাদী দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই আটজনের বিরুদ্ধে। দেশ জুড়ে স্লিপার সেল ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এদের কাজে লাগানো হয়েছিল বলে খবর। গত ১৭ এবং ১৮ ই নভেম্বর গভীর রাতে লাগাতার অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এই আটজনকে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধৃত একজন বাংলাদেশে (Bangladesh) পালানোর জন্য পাসপোর্টও বানিয়ে রেখেছিল বলে খবর!
বাংলাদেশি (Bangladesh) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতায় এই ‘অপারেশন প্রঘাত’ এর নেতৃত্বে ছিলেন এসটিএফ অসম চিফ পার্থ সারথি মহন্ত। অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আনসারুল্লাহ বাংলা (Bangladesh) টিমের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির এক ঘনিষ্ঠ সহকারী মহম্মদ ফারহান ইসরাকের নির্দেশ মতো গোপনে একটি দল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে তাঁদের কাছে সূত্র মারফত খবর এসেছিল। সেই মতোই চালানো হয় অভিযান।

পাঁচজন গ্রেফতার পশ্চিমবঙ্গ থেকে: আটজন ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মহম্মদ সাদ রাদি ওরফে মহম্মদ সাব শেখ নামে একজন বাংলাদেশী (Bangladesh)। পুলিশ সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসে তাকে ভারতে পাঠানো হয়েছিল নাশকতার উদ্দেশ্য ছড়িয়ে দিয়ে দেশ জুড়ে স্লিপার সেল তৈরির লক্ষ্যে। ওই ধৃত বাংলাদেশি (Bangladesh) অসম এবং বাংলায় স্লিপার সেলদের সাক্ষাৎ করে কেরলে পাড়ি দেয়। সেখানেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। অসম থেকে গ্রেফতার পাঁচ। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার হয়েছে মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস আলি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই আব্বাস আলিরই পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশে (Bangladesh) পালানোর। তবে ওপারের পরিস্থিতির কারণে তাঁর পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। শেষমেষ মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে পুলিশের জালে ফাঁসে অভিযুক্ত।
আরো পড়ুন : এবার সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা! সমুদ্রের তলায় খুঁজে পেলেন বিরাট খাজানা
তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার পাসপোর্ট: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত আব্বাস আলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথি এবং টেকনিক্যাল প্রমাণ সহ মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের। সেখানে থাকা নম্বরগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, আব্বাসের বাড়িতে আনাগোনা ছিল অসম থেকে ধৃত কয়েকজন সন্দেহভাজনের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর পাসপোর্ট। অসমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আব্বাস আলিকে।
আরো পড়ুন : বক্স অফিসে অব্যাহত ‘পুষ্পা’ ঝড়, এবার OTT-তে আসছে আল্লুর ছবি, কবে কোথায় জেনে নিন
পুলিশের তরফে আরো জানানো হয়েছে, এদের উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র জোগাড় করে এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে জঙ্গি সংগঠনে টানা। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে শিলিগুড়ির যে যোগসূত্র রয়েছে সেখানে নাশকতামূলক কার্যকলাপ ঘটানো। এদিকে ধৃত আব্বাস আলির পরিবারের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের কাজ চলত, একথা মানতে নারাজ তার বাড়ির লোক। যদিও তারা স্বীকার করেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধৃত আরেকজন মিনারুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আব্বাসের। মাদ্রাসার সূত্রে পরিচয় তাঁদের।





Made in India