বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ঝুলছে পার্থদের ভাগ্য। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্জুর করলেও
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ পাঁচ জনকে জামিন দিতে নারাজ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়। ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির ভিন্নমত হওয়ায় এ বার পার্থদের জামিনের আবেদনের মামলাটি যাবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। তারপর তিনি তৃতীয় বেঞ্চে মামলাটি পাঠাবেন। একই মামলায় যেখানে মানিক ভট্টাচার্য সহ আরও অভিযুক্তরা জামিন পেলেন সেখানে পার্থর পথে কোন বিষয়টা কাঁটা হচ্ছে?
পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সিংহ রায় জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্য সরকারের একাংশ অভিযুক্তদের পরোক্ষ ভাবে বাঁচাতে চাইছে বলে এই সংক্রান্ত মামলার তথ্য দেখে মনে হচ্ছে। যদি সত্যিই তা হয় তাহলে এই অবস্থায় অভিযুক্তরা জামিন পেলে তা খুবই দুর্ভাগ্যের হবে।’’ এর আগে এই মামলায় সিবিআই আদালতে বহুবার জানিয়েছিল, পার্থ সহ রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মামলার ট্রায়াল শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় রাজ্যপালের অনুমতি মিললেও বহু কাঠখড় পুড়িয়েও মুখ্যসচিবের অনুমতি মেলেনি। সিবিআই এর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই, সরকারের একটি অংশ অভিযুক্তদের বাঁচাতে চাইছে বলে বিচারপতি সিংহ রায়ের মত।
সিবিআই এর করা মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ-সহ মোট ন’জন। তাদের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর হলেও পার্থ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
জাস্টিস সিংহ রায় পর্যবেক্ষণে জানান, সমগ্র নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড এই পাঁচ জন। তাদের সঙ্গে সাধারণ জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের তুলনা হয় না। পাশাপাশি বিচারপতি জানান, নিয়োগ মামলায় সিবিআই অযথা ট্রায়াল শুরু করতে দেরি করছে এমন কোনো তথ্য তাকে কেউ দেখাতে পারেননি। তাই সিবিআই এর ঢিলেমির জন্য অভিযুক্তরা এখনও জেলবন্দি সেই বিষয়ে বিচারপতি সহমত হতে পারেননি।

আরও পড়ুন: অবশেষে ৫ শতাংশ DA বাড়াল রাজ্য সরকার, সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর
এর আগে একাধিকবার প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে পার্থর। এবারেও বিচারপতি সিংহ রায় পর্যবেক্ষণে জানানো পার্থ-সহ যে পাঁচ জনকে জামিন মঞ্জুর হয়নি, তারা এখনও প্রভাবশালী। তারা জামিন পেলে মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাতে পারে। রায়ের কপি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ট্রায়াল কোর্টকে পাঠানোর জন্য হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অনুরোধও করেছেন জাস্টিস সিংহ রায়। যদিও পার্থদের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়।





Made in India