বাংলাহান্ট ডেস্ক: নগ্নতা নিয়ে বরাবরই কড়াকড়ি রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। কোনও ব্যবহারকারীই এখানে কোনও রকম নগ্ন ছবি দিতে পারেন না। কেউ এই কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এ বার এই নিয়মেই কিছু বদল (Meta community standard) আসতে চলেছে। ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা জানিয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই তারা কিছু ব্যক্তিকে নিজেদের নগ্ন ছবি আপলোড করতে দেবে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নিজেদের নগ্ন ছবি আপলোড করতে পারবেন কিছু ব্যবহারকারী। নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইনে কিছু বদল আনার কথা ঘোষণা করেছে মেটা। প্রায় এক দশক আগে বিশেষত মহিলাদের নগ্ন ছবি আপলোড করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফেসবুক। এর ফলে সদ্য স্তন্যপান করানো নারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, ফেসবুক তাঁদের পর্নোগ্রাফারদের মতো দেখছে। ২০০৮-এ ফেসবুকের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

এ বার মেটাকে মহিলা ও উভকামীদের নগ্ন গায়ের ছবি আপলোড করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে ওভারসাইট বোর্ড। এই বোর্ডে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকরা রয়েছেন। তাঁরা মেটাকে তাদের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলি নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বার তারা মেটাকে তাদের প্রাপ্তবয়স্কদের নগ্নতা ও যৌনতার কমিউনিটি নির্দেশিকা বদলানোর পরামর্শ দিয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকে সম্মান জানিয়ে করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সম্মান করে কোনও মানুষকেই তাঁর যৌন বৈশিষ্ট বা লিঙ্গের ভিত্তিতে ভেদাভেদ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক উভকামী দম্পতি মেটার এই নির্দেশিকার বিষয়ে ওভারসাইট বোর্ডের কাছে যান। তাঁদের অভিযোগ, ২০২১ ও ২০২২ সালে তাঁরা দু’টি আলাদা ছবি আপলোড করেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তাঁরা নগ্ন থাকলেও তাঁদের স্তন ঢাকা ছিল। ছবিতে উভকামী মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া ছিল। কিন্তু মেটা সেই ছবিগুলি সরিয়ে দেয়।
কারণ ওই ছবিতে স্তন ও একটি তহবিল সংগ্রহের লিঙ্ক দেওয়া ছিল। মেটার তরফে বার বার ওই ছবি সরানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু ওই দম্পতি তা না করলে মেটার তরফেই সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ওভারসাইট বোর্ড। তদন্তে তারা জানতে পারে, মেটার নীতি অনুযায়ী এই পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলার কথাই নয়। তারপরেই মেটার এই নীতি পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড।





Made in India