‘শর্ত’ মানলে তবেই মিলবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা! বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নয়া নির্দেশ রাজ্যের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জোর কদমে চলছে কাজ। এবার বাংলার বাড়ি (Bangla Awas Yojana) প্রকল্পে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দিল রাজ্য (Government of West Bengal)। বর্ষা নামার আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাকি তিন লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাঠানোর নির্দেশ নবান্নের। তথ্য বলছে ইতিমধ্যেই ন’ লক্ষ উপভোক্তা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন। বাকিরাও যাতে দ্রুত সেই টাকা পান সেই লক্ষ্যে ব্যবস্থা প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কড়াকড়ি রাজ্যের | Bangla Awas Yojana

বর্ষা পুরো দমে ঢুকে যাওয়ার আগেই সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ বানিয়ে দিতে তৎপর রাজ্য। সেই কারণে সময়ের আগেই এই প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া শুরু হয়েছে। উপভোক্তাদের চিন্তা দূর করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার প্রতিটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করেন পঞ্চায়েত দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ের আগেই ২১ মে উত্তরবঙ্গে একটি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভোক্তার জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া হয়।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় দিলীপই ভরসা! প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে সক্রিয় করতে বড় পদক্ষেপ BJP-র আদি নেতাদের

নিয়ম মতো, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর লিনটেল পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ হলে তবেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পারেন উপভোক্তারা। এই ১২ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি লিনটেল পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। ন’লক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছে রাজ্য। বাকি উপভোক্তাদের কাছে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে জোর কদমে।

তবে শর্ত মতো প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর যাঁরা এখনও লিনটেল পর্যন্ত বাড়ি তুলতে পারেননি, তাঁদের দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। কিছুদিন আগেই বাড়ি তৈরিতে কাজের গতি বাড়াতে আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/AyJohssEM80?si=lEJTokHPBNNTurw0

জানা গিয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর প্রায় ৭২ শতাংশ উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তি টাকার পর লিন্টেন পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ তৈরি করে ফেলেছেন। তবে বাকি ২৮ শতাংশ উপভোক্তা এখনও এই পর্যন্ত নির্মাণ সম্পন্ন করে উঠতে পারেননি। কেন ২৮ শতাংশ উপভোক্তা এখনও কাজ সঠিকভাবে করে উঠতে পারল না সেই বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। উপভোক্তাদের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উৎসাহিত করার জন্য আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সরেজমিনে ময়দানে নেমে বাড়ি গিয়ে গিয়ে কাজ খতিয়ে দেখার জন্য জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ নবান্নের।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।