বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে (Bangladesh) গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পরেও বাংলাদেশ কিন্তু স্বাভাবিক নেই। জ্বালানি সংকট থেকে শুরু করে মূল্য বৃদ্ধি, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থেকে ক্রমশ মুদ্রার দাম ক্ষয়, একাধিক সমস্যায় জর্জরিত সোনার বাংলা।
বাংলাদেশের (Bangladesh) টাকার দামে পতন
এই আবহে ক্রমাগত পড়ছে বাংলাদেশি টাকার দাম। ভারতীয় মুদ্রার (Indian Currency) তুলনায় বাংলাদেশি টাকার দাম নামছে হু হু করে। বছর পাঁচেক আগেও ভারতের ১০০ টাকার পরিবর্তে পাওয়া যেত বাংলাদেশের ১১৮ টাকা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের টাকা আরো সস্তা হয়েছে। এখন আরো বেশি পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ে।

ভারতের মুদ্রার নাম ভাষা বিশেষে ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশের মুদ্রার নাম কিন্তু টাকা। আবার ভারতীয় মুদ্রাকে বাংলা ভাষাতেও টাকা বলা হয়।গতকাল অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, ভারতের ১০০ টাকা বাংলাদেশের ১৪৩ টাকার সমান। এই অবস্থায় ভারতীয় পর্যটকরা বাংলাদেশে (Bangladesh) গেলে অনেকটাই বেশি টাকা পাবেন ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ে।
আরোও পড়ুন : মহিলা অনুরাগীকে গলা ধাক্কা দিচ্ছেন নিরাপত্তা রক্ষী! মঞ্চে দাঁড়িয়েই মাথা নত করলেন অরিজিৎ
বাংলাদেশের (Bangladesh) টাকার দাম পতনের ফলে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মুদ্রা আদান-প্রদানকারীরা। অনেকেই চাইছেন বাংলাদেশের মুদ্রা (Bangladesh Currency) বিক্রি করে দিতে। সেদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থিতাবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন অনেকে।

মাসখানেক আগে পেট্রোপোল সীমান্তের এক মানি এক্সচেনজার জানিয়েছিলেন, “দুদিন আগে পর্যন্তও আমরা ১০০ ভারতীয় মুদ্রায় ১৩৭ বাংলাদেশি টাকা কিনেছিলাম। কিন্তু আজ বেচছি ১৪৫ বাংলাদেশি টাকা। আজ বাংলাদেশের টাকা কত গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা আমারও প্রশ্ন। যদিও কোনও বাংলাদেশি লোক আজ আসেননি। যাঁর কাছ থেকে টাকা কিনতে পারি।”
 
			 





 Made in India
 Made in India