বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার। দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও ভারতে নিযুক্ত কোনো বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, ২৩ শে জুন নবান্নে দুজনের বৈঠকের কথা রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার
সূত্রের খবর বলছে, নয়াদিল্লি থেকে কলকাতায় পা রেখে সরাসরি নবান্নে যাবেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা। এই বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয়বস্তু বাংলাদেশে রবিঠাকুরের কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যাও আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিঠাকুরের কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের নেপথ্যে ‘প্রকৃত তথ্য’ তুলে ধরা হবে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে।
দীর্ঘ ৯ বছর পর হবে বৈঠক: উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও এদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর আগে ২০১৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে হাইকমিশনার জকি আহাদকে সরিয়ে দেওয়ার পর আর কোনো হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরো পড়ুন : ‘ইরানের মৃত্যু হচ্ছে’, চোখের সামনে পুড়ছে জন্মভূমি, পরিবারের চিন্তায় ব্যাকুল মন্দানা
রবীন্দ্র ভিটেতে হামলার নিন্দা: সম্প্রতি সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র ভিটেতে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত পৈতৃক ভিটে এবং সংলগ্ন যাদুঘরে চালানো হয় ভাঙচুর। এই ঘটনার নিন্দা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরো পড়ুন : মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যখন তখন ঘটতে পারে কেলেঙ্কারি! ‘সুইসাইড ডিজিজ’এ আক্রান্ত সলমন
বিজেপির মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্রও বাংলাদেশের ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বকবির বাড়ি ভাঙচুর গোটা বাঙালি জাতির অপমান। বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভারত সরকার এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে, দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য।