বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ডেথ বোলিংয়ের সমস্যা কিছুতেই কাটছে না ভারতীয় দলের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচে এই সমস্যার কারণে ভারতকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিক একই সমস্যার কারণে ২০ ওভারের মধ্যে ৬ বাংলাদেশের ক্রিকেটারকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দিয়েও প্রবল চাপে ভারত।
আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় এবং মরণ বাঁচন ওডিআই ম্যাচটি খেলতে নেমেছে ভারত। ইনিংসের শুরুর দিকে সিরাজ, সুন্দর ও উমরানের বোলিংয়ে ভর করে বাংলাদেশকে ব্যাক ফুটে ঠেলে দিয়েছিল ভারত। ৬৯ রানে সাকিব, মুশফিকুর, লিটন সহ সকল তারকা ব্যাটারদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তারা। উমরান মালিকের পেসের সামনে একসময় রীতিমতো অসহায় দেখাচ্ছিলো বাংলাদেশের বোলারদের।
কিন্তু ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল কেবলমাত্র একটি পার্টনারশিপ। চেষ্টা করেও সেই পার্টনারশিপ ভাঙতে পারল না ভারতের বোলাররা। ২৭.১ ওভার একসঙ্গে ব্যাটিং করে ১৪৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মাহমদুল্লাহ ও গত ম্যাচে ভারতের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে উমরান মাহমদুল্লাহকে ফেরালেও তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

ভারতীয় বোলারদের ওপর প্রবল আক্রমণ করে ৫০ ওভারের একদম শেষে মাত্র ৮৩ বলে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ওডিআই শতরানটি করে বাংলাদেশকে ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান। দীপক চাহার আজ চোটের জন্য তিন ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। আগুনে ছোট পাওয়ায় ছিটকে যেন রোহিত শর্মাও। তার বদলে বাকি সময় লোকেশ রাহুল অধিনায়কত্ব করেন। কিন্তু কোনওভাবেই ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা সম্বলিত মেহেদীর এই ইনিংসকে আটকাতে পারেনি ভারত।
ইমরান মালিক দুর্দান্ত বোলিং করে নিজের প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়েছিলেন। তিনি আজ বোলিং শেষ করেন ২ উইকেট সহ ৫৮ রানে। গত কয়েক মাসে দুরন্ত ফর্মে থাকা সিরাজ আজ ২টি উইকেট পেলেও ৭৩ রান দিয়েছেন। পেশারদের মধ্যে একমাত্র শার্দুল ঠাকুর কিছুটা কৃপণ বোলিং করেছেন কিন্তু তিনি কোনও উইকেট পাননি। সবমিলি এটা বলা যায় ভারতের বোলিং নিয়ে সমস্যা কাটার আপাতত কোন লক্ষণ নেই।





Made in India