ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক বিল পাস করল বলে ইতিমধ্যে দাবি করেছেন মোদি সরকার। সাম্প্রতিক শীতকালীন অধিবেশনে এবারে নাগরিকত্ব অর্থাৎ সিএবি বিল পাস করার জন্য প্রথম থেকেই শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে তরজা চলছিল। অবশেষে আজ রাজ্যসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস হয়। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি বিপক্ষে ভোট পড়ে ১০৫টি।

গতকালই লোকসভায় ভোটাভুটি হয় সেখানে ৩১১ ও ৮৮ ভোট পড়ে বিরোধীদের দখলে, ফলে লোকসভায় পাস এরপরে রাজ্যসভায় বিল পাসের জন্য বিজেপির কাছে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যা ছিল না. সাংসদের ৬ঘন্টা বিল পেসের পর সেখানে প্রত্যেক দলের সদস্য বক্তব্য রাখেন।
প্রতিটি পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনা করা হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে এবং কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোটামুটি উপর দেখা যায় বিজেপি জয়লাভ করেছে এবং বিভিন্ন শরিক দল সেখানে সমর্থন দিয়েছে।
সারা ভারত জুড়ে উৎসব পালন করা হচ্ছে। আজ বিল পাস হওয়ার পর বিজেপির রাজ্য দপ্তরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাজিলের পক্ষে সমর্থন জানায় একদিকে যখন বিলের বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঠিক সেই সময় বিজেপি বারবার দাবি করেছে ভারতবর্ষের পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান-আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের যে সমস্ত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং ধর্মের মানুষ বাস করে তাদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
তারা যদি ভারতে থাকতে চায় কিন্তু বিরোধীদের দাবি ছিল শুধুমাত্র কেন মুসলিম সমাজকে বাদ রেখে এই বিল পাস করা হচ্ছে যা সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেছে তৃণমূল কিন্তু বিজেপি পক্ষ থেকে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল,তখন কংগ্রেস ছিল এখন দেখার বিষয়। যারা বিভিন্ন দেশ থেকে আসবে তাদেরকে সত্যি সত্যি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় কিনা।





Made in India