বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের ভোটরর দামামা বাজতেই শাসক-বিরোধী সব শিবিরই নির্বাচনী প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল। সেখান থেকে একে অপরকে একাধিক ইস্যুতে বিঁধতেও দেখা গিয়েছে। তবে এবারের প্রচার মঞ্চ থেকে ‘উষ্কানীমূলক মন্তব্য’ একটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। থেমে নেই শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই। ইতিমধ্যেই উষ্কানীমূলক মন্তব্যের জেরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
এবার ফের কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশকে প্ররোচনা দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দিল্লির কমিশনকে চিঠি দিয়ে এমনই অভিযোগ জানাল বিজেপি নেতৃত্বরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) বিরুদ্ধে প্ররোচনা মূলক মন্তব্য করেছেন।’ শীতলকুচি কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যান করেছিল কমিশন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে, বিজেপি অভিযোগ করে, ‘নির্বাচন কমিশনের সতর্কতা সত্ত্বেও প্ররোচনা মূলক মন্তব্য করেছেন মমতা’ (Mamata Banerjee) ।

গেরুয়া শিবিরের তরফে এই প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, নদিয়ার এক সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘বিজেপির কথায় চলবেন না, তারা আজ আছে কিন্তু কাল নেই।’ বিজেপির অভিযোগ এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বিজেপিতে কাজ করবেন না, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করে চলে! এর মাধ্যমে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে বলতে চাইছেন, তোমরা তোমাদের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কথা শুনবে না। কেন্দীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশকে প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা বলে অভিযোগ করেন তিনি।’





Made in India