বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। বাংলার ‘মসনদ’ দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়বে সকল রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে সেই আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলার নানান জেলায় সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে বিজেপি (BJP)। ইতিমধ্যেই ৩৩টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতির (District President) নাম ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির, রবিবার আরও ৬টি জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হল।
কাদের কাঁধে দায়িত্ব দিল বিজেপি (BJP)?
এর আগে দু’দফায় রাজ্যের ৩৩টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। রবিবার রানাঘাট, যাদবপুর, ঝাড়গ্রাম, মথুরাপুর, উত্তর দিনাজপুর ও কাটোয়ার সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রানাঘাটে অপর্ণা নন্দীর কাঁধেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর, ঝাড়গ্রামে পুরনো মুখের ওপর আস্থা রেখেছে পদ্ম শিবির। বাকি তিন জেলায় আনা হয়েছে নতুন মুখ।
এদিকে নয়া জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার প্রাক্কালে রবিবার রানাঘাটে (Ranaghat) গেরুয়া শিবিরের পার্টি অফিস সংলগ্ন কিছু এলাকায় পোস্টার পড়ে। সেখানে বেশ কিছু ‘দাবিদাওয়া’ লেখা ছিল। ‘অপর্ণা নন্দীকে জেলা সভাপতি মানছি না, মানব না’, ‘মহিলা সভাপতি না দিয়ে যুবদের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে’, এমন বেশ কিছু ‘দাবি’ লেখা ছিল সেখানে। কয়েক জায়গায় আবার কুরুচিকর ভাষায় মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। ‘বিক্ষুব্ধ’দের এহেন ‘দাবি’ সত্ত্বেও রানাঘাটের জেলা সভাপতি করা হয়েছে সেই অপর্ণাকেই।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানির আবহেই জারি বিজ্ঞপ্তি! রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর
বিজেপি সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের বাকি ৪টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি পদের দাবিদার হিসেবে একাধিকজন রয়েছেন। সেই জেলাগুলির সভাপতির নামও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে খবর। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। সেই পদের জন্য গেরুয়া শিবির কাকে বেছে নেয় সেটাই দেখার।

উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলার বুকে গেরুয়া ঝড় উঠলেও একুশের বিধানসভা ও চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি (BJP)। জোড়াফুলের ঠ্যালায় কার্যত বেসামাল হয়ে যায় পদ্ম। ছাব্বিশের ভোটের আগে তাই সংগঠন আরও মজবুত করতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির।





Made in India