বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২ পেরিয়ে আসন্ন ২৩! সাথেই বঙ্গের দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। বছর ঘুরলেই ভোটানুষ্ঠান। তারই তোড়জোড়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির। জায়গায়-জায়গায় কর্মী সভায় মেতেছেন নেতারা। কোন কৌশলে মিলবে জয়ের ফুল, সেই রাস্তা খুঁজে পেতেই মরিয়া সক্কলে। এরই মাঝে এবার নয়া ভোট কৌশল নিয়ে হাজির বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ভোটে জয়লাভ করতে সংখ্যালঘুদের (Minority community) ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
বঙ্গে ঘাসফুলের এক বড় ভরসার স্থান সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। এবার সেই সংখ্যালঘুদের মন পেতে উদ্যত বিজেপিও। সর্বস্তরের নাগরিকের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিশেষ তৎপর বিজেপি বাহিনী। তাই ভোটের প্রচারে সংখ্যালঘুদেরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছে তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বিজেপিকে সংখ্যালঘুদের দুয়ারে গিয়ে জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওপর মহলের নির্দেশ ভোটার তালিকা দেখে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে সংখ্যালঘু ভোটারদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটা গ্রামে গিয়ে কথা বলতে হবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে। শুধু তাই নয় মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফলের কথা ছড়িয়ে দিতে হবে তাঁদের মধ্যে। পাশাপাশি সংখ্যালদের মন থেকে দূর করতে হবে বিজেপি-ভীতি।
সূত্রের খবর, এই কর্মসূচির দায়িত্বভার থাকবে রাজ্যের সমস্ত সাংগঠনিক জেলার নেতাদের ওপরই। ওপর মহল থেকেই এসেছে এই নির্দেশ। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন খোদ বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই প্রসঙ্গে তিঁনি জানান “বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী নয়। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের পরে আগামী নির্বাচনে বাংলার ভোটের ফলও প্রমাণ করবে, এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরাও বিজেপিকে চাইছে।”

অন্যদিকে বিজেপির এই নয়া চাল নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক- বিরোধী তরজা। বিজেপিকে বিধঁতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি ঘাসফুল শিবির। ‘ যাঁরা বুথ কমিটিই গড়তে পারেনি তাঁদের আবার কে বিশ্বাস করে।’ এমন কথাও শোনা গেল রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের মুখ থেকে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এত কৌশল, রণ কৌশলের পর কোন দল নিশানা মারতে পারবে পাখির চোখে সেটাই এবার দেখার বিষয়।





Made in India