বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার পুরোনো বিবাদকে সামনে টেনে এনে শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নতুন করে ডিসেম্বর মাসের তিনটি তারিখের কথা উল্লেখ করে বিশেষ ভাবে নজরে রাখার কথা বলেন। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি মন্তব্য করেন যে, এই মাসের ১২, ১৪ এবং ২১ তারিখে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। নিশ্চয়ই কিছু না কিছু ঘটবে এই তিন দিনে।
আর তারপরেই কার্যত ঝড় ওঠে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেন তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন যে, ‘‘শুভেন্দু ট্রেনি জ্যোতিষী। দলের মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে নিজেকে তুলে ধরার জন্য ফের একটা নতুন হুজুগ সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে বিরোধী দলনেতা। আর যদি সত্যি সত্যিই ওই দিনগুলিতে কিছু হয়, তাহলে বুঝতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।’’
অন্যদিকে শুভেন্দুকে হাজরা এবং কাঁথিতে জনসভা প্রথমে করতে দেওয়ার অনুমুতি ছিল না, পরে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার থেকে এই অনুমতিপত্র গ্রহণ করেন। তারপর ১২ তারিখ হাজরা এবং ২১ তারিখ কাঁথি এই দুই জায়গায় তাঁর সভাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য পুলিশকেও একগুচ্ছ গাইড লাইন দেন বিচারপতি। এদিকে, ২১ তারিখ কাঁথিতেই তৃণমূলের আবার একটি জনসভা আছে যেখানে উপস্থিত থাকার কথা অখিল গিরি এবং কুণাল ঘোষদের।

পরস্পর বিরোধী দুই রাজনৈতিক দল একই তারিখে প্রায় একই স্থানে তাঁদের জনসভার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন এই দুই জনসভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই আসল দেখার বিষয়। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নামে ওই দিন একাধিক এফআইআর জমা পড়লেও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেক্ষেত্রেও তাঁর সমর্থনে রায় দিয়ে বলেছেন যে, আপাতত কোনো এফআইআর-এর বিরুদ্ধে এখন মামলা দায়ের করা যাবে না। এই প্রসঙ্গে আবার কুণাল ঘোষ বলেন যে, এইভাবে চললে সাধারণ মানুষের বিচার ব্যবস্থার ওপর থেকে বিশ্বাস চলে যাবে। তাঁরা বুঝতে পারবেন না কোনটা ঠিক এবং কোনটা ভুল।





Made in India