বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে ছবিটা যখন বদলায়, তখন তার প্রভাব যে পড়বে গ্রামগঞ্জে এটাই স্বাভাবিক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পালে হাওয়া ছিল চরমে, সেই কারণে পঞ্চায়েতগুলিতেও ক্রমশ জোর বাড়ছিল বিজেপির। কিন্তু একুশের নির্বাচনের ফলাফল বেড়োনোর পর এখন হাওয়া বদলেছে। এই কারণে ফের একবার পঞ্চায়েতেও নিজেদের জমি ফেরত পেতে শুরু করেছে তৃণমূল। এমনই একটি ছবি ফুটে উঠল বাঁকুড়ার মানকানালি পঞ্চায়েতেও।
এই পঞ্চায়েত কার্যত আগে ছিল বিজেপির (BJP) দখলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে, ১৫ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে আটটি ভোট হয়েছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে সাতটি ভোট পায় তৃণমূল (TMC)। কিন্তু একজন তৃনমূল সদস্য ক্রস ভোট দেওয়ায় বিজেপির ভোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় নটি। পঞ্চায়েতের প্রধান হন ত্রিবেণী বাউরী। তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাস তিনেক কাটতে না কাটতেই ফের একবার বদলাল এই পঞ্চায়েতের চিত্র।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন দুই পঞ্চায়েত সদস্য। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েতের সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি এবং অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। আজ সেই আস্থা ভোটে নটি ভোট সংগ্রহ করে মানকানালি পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি প্রধান এবং উপপ্রধানের দুর্নীতির কারণেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন ফুলমণি হেমব্রম চিন্তামণি ঘোষ নামে ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য।

অন্যদিকে অবশ্য বিজেপি প্রধান এবং উপপ্রধানের দাবি, দুর্নীতি এখানে কোনো বিষয় নয় মূলত ভয় এবং প্রলোভনেই যোগদান করানো হয়েছে ওই দুই বিজেপি সদস্যকে। আসল উত্তর অবশ্য দেবের সময়ই। তবে আপাতত ফের যে একটি পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হলো তা বলাই বাহুল্য।





Made in India