বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের তেতে উঠল রাজ্য বিধানসভা (West Bengal Assembly)। শুক্রবার উত্তরবঙ্গে চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগ আনেন শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার চা বাগান তো রক্ষা করছেই না, উল্টে জমি বিক্রি করছে। পাল্টা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) বলেন, এই ধরণের কোনও ভিডিও অথবা নথি থাকলে পাঠিয়ে দিন। যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগে সরব বিজেপি (BJP)
এদিন পদ্ম বিধায়ক তথা পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর বলেন, ‘রাজ্য চা বাগান তো রক্ষা করছেই না, উল্টে আইনভঙ্গ করে জমি বিক্রি করছে’। এদিন দৃষ্টি আকর্ষণী পর্বে তিনি বলেন, কোচবিহারের তুফানগঞ্জের রসিকবিল সংলগ্ন চা বাগানের সঙ্গে আদিবাসী পরিবারগুলি দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। এই চা বাগান তাঁদের জীবন, জীবিকার অন্যতম ভরসা। ‘সরকার নিজেই এখন এই বাগান ধ্বংস করছে’, অভিযোগ আনেন শঙ্কর।
বিজেপি বিধায়কের এহেন দাবি শুনে মন্ত্রী মলয় বলেন, ‘প্রমাণ দিন, ব্যবস্থা নেব’। তিনি আরও বলেন, আপনার কাছে আমার ফোন নম্বর রয়েছে। যদি কোনও ভিডিও অথবা নথি থেকে থাকে, তাহলে আমায় পাঠান। আমি দেখছি ও যথাযথ পদক্ষেপ নেব।
আরও পড়ুনঃ ‘আদালত শুধু দেখবে…’! কেন্দ্র-রাজ্যের ভূমিকায় ‘অসন্তুষ্ট’ হাইকোর্ট, কোন মামলায়?
মলয় এদিন দাবি করেন, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলার চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। দৈনিক মজুরি ৬৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০ টাকা হয়েছে। ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে ৩৫ কেজি করে চালও দেয় সরকার।
এখানেই না থেমে বিজেপিকেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী। বলেন, বিজেপি শাসিত অসমে চা শ্রমিকদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেটাও ৯ টাকা/কেজি দরে কিনে নিতে হয়।
পাল্টা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর বলেন, ২০২২ সালে সকল প্রমাণসহ একটি চা বাগান (Tea Garden) ধ্বংস করার অভিযোগ এনেছিলাম। এরপর দেখতে দেখতে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেননি মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে নানান ইস্যুতে তেতে উঠেছে রাজ্য বিধানসভা। আজ চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগে শাসক-বিরোধীর মধ্যে তরজা হয়। সরকারের বিরুদ্ধে চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগ আনেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। পাল্টা তাঁর থেকে প্রমাণ চান রাজ্যের মন্ত্রী।