বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে বিবাদ এবং অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত কারণে ১৭৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। সেটি ২০২০ সালের ঘটনা। এর মধ্যে ছিল চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক (TikTok)। এ বার একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডাও। গত মাসে তারাও সেখানে টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের (India) মতোই নিরাপত্তাগত কারণেই এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে তারা। এ বার এ বিষয়ে মুখ খুললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি তিনি। কারণ এ বার থেকে তাঁর নিজের সন্তানরাও এই অ্যাপ আর ব্যবহার করতে পারবে না। ওটাওয়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “এ বার থেকে আর আমি টিকটক ব্যবহার করব না কারণ চিন সরকার একটি ফোনের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।”
Unite
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রুডো এই নিষেধাজ্ঞার জেরে বেশ কিছু ব্যক্তিগত সুবিধার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “এ বার থেকে আমি ও আমার সন্তানরা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারব না।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যে ফোনে টিকটক রয়েছে সেটি চিনের সরকারি ফোন। এই ফোনটি চিন সরকারকে সাহায্য করে। তিনি আরও জানিয়েছেন, টিকটক কানাডার নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই কারণেই সেই দেশে এই চিনা অ্যাপ বন্ধের পথে হেঁটেছে সরকার।
উল্লেখ্য, ৫১ বছর বয়সি জাস্টিন ট্রুডোর তিন সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন কৈশোরে রয়েছে। গত মাসে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডা সরকার। এই ঘোষণা করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মানুষের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার উপর একটি বড় ঝুঁকি। ট্রুডোর কথায়, “আমি অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে চিন্তিত। তাই আমি খুশি যে সরকারি ফোনে আর তারা টিকটক ব্যবহার করতে পারবে না।”
সম্প্রতি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালেভান বলেন যে আমেরিকাতেও টিকটক নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ডেমক্র্যাটিক পার্টির সেনেটর মার্ক ওয়ার্নার এবং রিপাবলিকান পার্টির এক সদস্য জন থুন এই কাজে তাঁকে সমর্থন করেছেন। দু’টি বিপরীত মেরুর রাজনৈতিক দলের এই সমর্থন মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে খুবই দুর্লভ একটি দৃশ্য।





Made in India