বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু মাস ধরে দুর্নীতি (Corruption) ইস্যুতে জেরবার রাজ্য। তারমধ্যে সর্বাধিক দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষাঙ্গনের ক্ষেত্রে। এক কথায় বলতে গেলে একের পর এক দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে বাংলার শিক্ষাগনকে। এই দুর্নীতির রহস্য উন্মোচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই লক্ষ্যে আচমকাই রাতের অন্ধকারে বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) হানা দিল সিবিআই (CBI)। উদ্ধার করল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে সল্টলেকের বিকাশ ভবনে অভিযান চালায় সিবিআইয়ের দল। ভবনের ৬ তলাতে পৌঁছায় তদন্তকারী দল। বিভিন্ন নথিপত্রও সংগ্রহ করেন তাঁরা।
আরও কী জানা যাচ্ছে? এদিন বিকাশ ভবনে পৌঁছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি গুদামে ঢোকে সিবিআইয়ের ছোট একটি দল। এর পর গুদামকে সিল করে দিয়ে চলে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। জানা যাচ্ছে, বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ঘরের ঠিক উল্টো দিকে তাঁর সচিবালয়ের কম্পিউটার এবং বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখে তদন্তকারী দলটি। শুধু তাই নয়, কথা বলেন সেখানের কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গেও।
সূত্রে খবর, দীর্ঘ ক্ষণ সেখানে ছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকগণ। তাঁদের সাথে ছিল একটি কালো বাক্স ছিল। এরপর যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে রাতের অন্ধকারেই তাঁরা ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে তাঁদের এই গোপন অভিযান? কোন মামলার তদন্তের জন্য এসেছিলেন? সাংবাদিকদের এই সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা শুধুমাত্র জানান যে তাঁরা সিবিআই থেকে এসেছেন।

মনে করা হচ্ছে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সূত্র ধরেই বিকাশ ভবনে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আপাতত শ্রীঘরে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। এরই মধ্যে এবার হঠাৎ বিকাশ ভবনে সিবিআই হানা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।





Made in India