বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চিনে বিদ্যুত উৎপাদনের চরম সংকট (China Power Crisis) দেখা দিয়েছে। আর এই সংকটের কারণেই বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি চিনের কারখানাগুলিতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দেশের বৃহৎ অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু চিনেই না, ভারতে চিনা গাড়ি, মোবাইল, টিভি আর স্মার্ট গ্যাজেট কেনা গ্রাহকদেরও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে আশঙ্কা জাহির করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের বিদ্যুতের সংকটের কারণে গোটা বিশ্বের গাড়ি আর স্মার্টফোনের বাজারেও প্রভাব দেখা দিতে পারে। চিনের শিল্প ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলিকে বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে আর বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। চিনের সরকারি মিডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চিনের বহু বাড়িতেই বিদ্যুতের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যার কারণে অনেকেই লিফটে আটকে পড়েছেন।
Column: China’s widening electricity crisis caused by coal shortage https://t.co/0owXuMVyQD pic.twitter.com/CuJzIBK7VQ
— Reuters (@Reuters) September 28, 2021
চিনের সমস্ত অর্থনীতি প্ল্যানিং এজেন্সি দেশে বিদ্যুতের সংকট মেটানোর কাজে জুটেছে। বুধবার চিনের সমস্ত এজেন্সি দেশের নাগরিক আর শিল্পপতিদের আশ্বাস দিয়েছে যে, বিদ্যুতের সংকট মেটানোর জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, আর খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।
বিগত কয়েক বছরে চিন বিশ্বের সমস্ত কারখানার জন্য কাঁচামালের সবথেকে বড় রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে সামনে এসেছিল। গোটা বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, ওষুধ, প্লাস্টিক, গাড়ি আর অন্যান্য কারখানাগুলির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রপ্তানি করার মামলায় চিন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। চিনের বর্তমান সমস্যার কারণে অনেক দেশের কারখানাতেই প্রভাব পড়বে। আর এর কারণে বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়বে।
চিনের বিদ্যুৎ সংকট ম্যানুফ্যাকচারদের বর্ধিত চাহিদার মধ্যে কয়লা সাপ্লাইয়ে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। চিনের কয়েকটি বন্দর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ, আর এই কারণে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলির চাহিদা মতো কয়লার সাপ্লাই হয়নি। আর কয়লার সাপ্লাই এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আর এই কারণে চিনের অনেক এলাকায় সরকার বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। ওই এলাকায় দোকান, শপিং মল আর কারখানার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আর এর মধ্যেই চিনের শিল্পপতিরা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, সরকার যদি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান না করতে পারে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি অর্থনীতির পাওয়ার হাউস বলে পরিচিত চিনের তিনটি বড় প্রান্তে আর্থিক গতিবিধি শিথিল হয়ে পড়বে। বলে দিই, চিনের ওই তিনটি প্রান্ত দেশের অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ যোগদান করে।





Made in India