বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, দেশের বেশ কয়েকটি প্রান্তে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিপর্যস্ত জনজীবন। একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উড়িষ্যা (Odisa), অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) এবং তেলেঙ্গানার (Telengana) বিভিন্ন প্রান্তে। এক্ষেত্রে প্রধানত মেঘভাঙা বৃষ্টিকেই দায়ী করা হয়েছে। আবহবিদদের মতে, প্রথমে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং এরপর গোদাবরী নদীর জলস্তর অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বন্যার কবলে পড়েছে মানুষ। তবে ইতিমধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়ে এহেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ সঙ্গে তুলনা করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrasekhar Rao)।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে তাঁর দাবি, “আমাদের দেশে সমস্যা সৃষ্টি করা প্রধান উদ্দেশ্য আর সেই জন্য মেঘভাঙা বৃষ্টি ঘটানো হচ্ছে। প্রথমে লাদাখ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য এবং পরবর্তীতে গোদাবরী নদীর সংলগ্ন একাধিক রাজ্যে এই পরিস্থিতি তা প্রমাণ করে।” তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল তেলেঙ্গানার ভদ্রাচলমে বন্যা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে ত্রাণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। পরবর্তীতে তিনি বলেন, “অতীতে এভাবে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়নি। এর কারণে গোদাবরী নদীর জলস্তর ক্রমশ বেড়ে চলেছে আর তার দরুণ বন্যার কবলে পড়ছে মানুষ। এর পিছনে ‘বিদেশিদের ষড়যন্ত্র’ রয়েছে। অনেক রিপোর্ট-এ তা দাবি করা হয়েছে। প্রথমে লাদাখ, পরবর্তীতে উত্তরাখণ্ড আর সম্প্রতি গোদাবরী সংলগ্ন রাজ্যগুলি। এটা পরিষ্কার যে, আমাদের দেশে সমস্যা সৃষ্টি করার জন্যই এহেন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গোদাবরী নদী সংলগ্ন ভদ্রাচলমের জলস্তর প্রায় ৭০ ফুট উপরে উঠে যায়। যদিও ইতিমধ্যে তা কিছুটা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। এছাড়াও রাজ্যের তরফ থেকে গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে তাদের থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে।





Made in India