বাংলা হান্ট ডেস্ক: অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে আজ প্রশাসনিক সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রিত ছিলেন বহরমপুর এর কংগ্রেস সাংসদ অধীর বাবুও। তবে দিল্লিতে থাকার কারণে তিনি আজ আসতে পারেননি। সংসদে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে খুব খুশি। এতদিন আমাকে ডাকা হতো না। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ আসে। কিন্তু পার্লামেন্টে কাজ থাকার কারণে যেতে পারলাম না। দিদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন, অভিষেকের এই সদ্যজাত শিশুকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ কয়েকদিন আগে এই প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা অধীর, তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যপাল মাঝেমধ্যে স্বইচ্ছায় নিজের ক্ষমতা জাহির করছেন৷ অন্যদিকে আবার হঠাৎ হঠাৎ তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন৷ রাজ্যপালের এই ফ্লিপ ফ্লপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একটি রাজনৈতিক পরিবেশে কখনোই মানায় না৷ রাজ্যপাল পথটা সাংবিধানিক হলেও অনেকটাই আলংকারিক। একজন রাজ্যপালের সবসময় রাজ্য সরকারের সাথে সমঝোতা করা উচিত এবং সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলা উচিত। রাজ্যপালের কখনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে অকারণে সংঘাত করা উচিত নয়, আর বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দিনের পর দিন তাই করে যাচ্ছেন।”
শুধু তাই নয় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী নিজের চেয়ারের গুরুত্ব রাজ্যপালের বোঝা উচিত বলে মন্তব্য করেন, এদিন তিনি আরো বলেন, “রাজ্যপাল তার নিজের চেয়ার এর গুরুত্ব যে কতটা সেটা সবার আগে বুঝুক৷ পাশাপাশি, রাজ্যপালের প্রতি সরকারেরও দায়িত্ব বোঝা উচিত৷ তৃণমূলের যে কোনও নেতা রাজ্যপালকে নিয়ে যা খুশি বলছে, এটা শোভনীয় নয়৷ এতে রাজ্যের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে৷”





Made in India