বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রাণ হারান ২৬ জন। এদিকে, ওই হামলায় পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলেও খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর তরফে বিভিন্ন জায়গায় চালানো হচ্ছে জোর তল্লাশি। ঠিক এই আবহেই ফেসবুকে একটি পোস্ট (Facebook Post) করে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল নদিয়ায় কৃষ্ণনগরের যুবক রানা বিশ্বাস। মূলত, তার ওই ফেসবুক পোস্টটিকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।
কৃষ্ণনগরের যুবকের সন্দেহজনক ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post):
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কাজের জন্য দুবাইতে পাড়ি দিয়েছিল রানা। পরবর্তীকালে সে বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু, সম্প্রতি তার একটি ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post) চমকে দিয়েছে সবাইকে। যেখানে তাঁর পোস্ট করা কিছু ছবিতে পাথুরে এলাকায় অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র নিয়ে হেঁটে যেতেও দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। আবার শপিংমলে দু’জনের সঙ্গে সেলফিও পোস্ট করেছে রানা।

শুধু তাই নয়, ওইসব ছবি পোস্ট করে সে ক্যাপশন হিসেবে (Facebook Post) “মাই ফ্রেন্ড”, “ফ্রেন্ড ভাই লোগ” লিখেছে। এমতাবস্থায়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরেই রানার সঙ্গে কি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের কোনও যোগসাজস রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: “বৃহৎ বাংলা” গঠনে বঙ্গের ১০ টি জেলাকে দখল করবে বাংলাদেশ? বাদ যাবেনা কলকাতাও? “ফাঁস” পরিকল্পনা
এদিকে, রানার সঙ্গে কোনওভাবে ওই জঙ্গিদের পরিচয় রয়েছে কিনা বা রানা কোথায় ওই ছবি তুলেছিল এবং তার বর্তমান গতিবিধি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই গত শনিবার থেকে ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তবে, যেহেতু জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাই তদন্তের স্বার্থে এই প্রসঙ্গে এখনই কোনও তথ্য সামনে আনেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: “আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নয়”, এবার PoK দখলের দাবি জানালেন অভিষেক, দিলেন কড়া বার্তা
কী জানা গিয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে রানার বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লাগোয়া ভান্ডারখোলা মল্লিকপাড়া এলাকায়। কলেজের পড়াশোনা শেষ করে রানা চাকরির পরীক্ষাও দিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই দুবাইতে সে কাজের সুযোগ পায়। সেইমতো প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে রানাকে তার পরিবারের দুবাইতে পাঠালেও মাত্র সাত দিন পরেই সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসে রানা। এমতাবস্থায়, সামগ্রিক বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রানার বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:





Made in India